সম্পূর্ণ নতুন একটি ব্যবসা যা কোটি টাকার ব্যবসায় রূপান্তরিত করতে পারে।


 আজ আমি এমন একটি নতুন ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করব যা অন্য কেউ করছে না। এটি একটি সম্পূর্ণ নতুন ব্যবসা আইডিয়া হবে। এবং এটি এমন একটি ব্যবসা আপনি পরবর্তীকালে অনেক বড় ব্যবসায় রুপান্তরিত করতে সক্ষম হবেন।  শুরু করার আগে কিছু কথা মাথায় রাখতে হবে। যে কোন সমস্যা সঠিক সমাধান একটি সার্থক ব্যবসা রূপ নিতে পারে। তাই প্রথমেই আমাদের একটি সঠিক সমস্যা খুঁজে বার করতে হবে এবং তার সঠিক সমাধান নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে হবে। এখানে সমস্যাটি হল আজকের এই প্রজন্মের বাচ্চাদের কাছে আইসক্রিম একটি অধিক জনপ্রিয় এবং সুস্বাদু খাবার কিন্তু অনেক পিতা মাতা চায়না যে তার বাচ্চা আইসক্রিম খান কারোন  আইসক্রিমে অনেক রকম কেমিক্যাল বা ফুড কালার ব্যবহার হয়ে থাকে। এতে কচিকাচাদের সার্বিক উন্নতির ক্ষেত্রে বাধা হতে পারে  বা স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। আজকের এই সমস্যার সমাধান আমাদের ব্যবসা। এই আইসক্রিম এর পরিবর্তে কি এমন খাবার হতে পারে যা বাচ্চাদের কাছে যথেষ্ট জনপ্রিয় হবে এবং সুস্বাদু হবে এবং পিতা-মাতা ও চাইবেন আইসক্রিম এর পরিবর্তে তাদের বাচ্চারা এই খাবারটি খাওয়াতে।


    আইসক্রিম ফ্লেভারের দই এর ব্যবসা। 

    আমরা সকলেই জানি দই আমাদের শরীরকে ঠান্ডা করতে ও অন্যান্য কাজে খুব উপকারী। অনেকেই তাদের বাচ্চাদের দই খাইয়ে থাকেন। কিন্তু দইয়ের বিশেষ কিছু ফ্লেভার পাওয়া যায় না। সচরাচর আমরা ম্যাংগো দই পেয়ে থাকি কিন্তু এর বাইরে আর কোন ফ্লেভারের দই আমরা পাইনা বললেই চলে।আইসক্রিমের যে সকল ফ্লেভার আছে সেই সকল ফ্লেভারের দই বিক্রি আমাদের আজকের ব্যবসা।



    কিভাবে করবেন এই ব্যবসা?

    কত টাকা লাগতে পারে এই ব্যবসা শুরু করতে?

    বিক্রি কোথায় করবেন?

    কিভাবে একটি দই আইসক্রিম এর ব্র্যান্ড দাঁড় করাবেন?

    কি কি ইনোভেটিভ আইডিয়া নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করা যায়?


    আজকের প্রতিবেদনে এই সকল বিষয় নিয়েই আমরা আলোচনা করব।


    কিভাবে শুরু করবেন আইসক্রিম দই এর ব্যবসা ?


    এই ব্যবসা শুরু করার আগে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা আপনাকে করে নিতে হবে যেমন কোন কোন আইসক্রিম ফ্লেভার দিয়ে ভালো সুস্বাদু দই তৈরি করা যায়। আপনাকে আইসক্রিমের যে জনপ্রিয় ফ্লেভার গুলি রয়েছে যেমন চকলেট ফ্লেভার, ভ্যানিলা ফ্লেভার, বাটারস্কচ  ফ্লেভার ইত্যাদি ফ্লেভার দই তৈরি করতে হবে এবং সেই তৈরি করা দই বারবার তৈরি করে তাকে সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর ও বাচ্চাদের পছন্দসই করে তুলতে হবে। আপনার তৈরি করা আইসক্রিম ফ্লেভার দই প্রথমে  আপনার পরিচিত ব্যক্তি যেমন বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয় স্বজনকে খাওয়াতে হবে এবং তাদের কাছ থেকেই ফিডব্যাক নেবেন যে এই স্বাদ কতটা গ্রহণযোগ্য বা বাচ্চাদের কতটা প্রিয় হতে পারে। এরপর বেশকিছু বাচ্চাকে আপনার তৈরি প্রডাক্ট খাওয়াবেন এবং তাদের কাছ থেকে ফিডব্যাক কালেক্ট করবেন কারণ আপনার টার্গেট অডিয়েন্স এই বাচ্চারাই। যখন আপনার প্রডাক্ট স্বাদে ও গুণে সঠিক রূপ নেবে এরপর আপনাকে প্যাকেজিং এর ব্যাপারে মন দিতে হবে।


    কত টাকা লাগতে পারে এই ব্যবসা শুরু করতে?


    খুব মজার ব্যাপার আপনি আপনার সাধ্য মত টাকা দিয়ে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। যদি আপনার কাছে পুঁজি কম  থাকে তাহলে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন আবার এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা নিয়েও এ ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আমি এখানে প্রথমেই জানাবো অল্প পুঁজি মানে হাজার 2 হাজার টাকা দিয়ে কিভাবে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। যদি আপনার প্রডাক্ট  প্যাকেজিং রেডি থাকে তাহলে আপনি নামমাত্র টাকা দিয়ে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে দুটি কাজ করতে হবে প্রথমত জোমাটো বা সুইগী এর মত কোম্পানির সঙ্গে আপনাকে যুক্ত হতে হবে। এখান থেকেই অনলাইন রেটিং নিয়ে আপনার ব্র্যান্ড পরিচিতি বাড়াতে হবে। এর পাশাপাশি আপনাকে আপনার আশপাশের বাজার অঞ্চলে আইসক্রিম ও কোলড্রিংস এর ব্যবসা করে যারা তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে যাতে আপনার প্রোডাক্ট তারা বিক্রি করে। অনলাইন অফ লাইন দুদিক থেকেই আপনাকে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এছাড়া আপনার মার্কেটিং সুন্দরভাবে করতে হবে বিশেষত সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এ বিশেষ জোর দিতে হবে। আপনার মার্কেটিং যত ভালো হবে আপনার প্রোডাক্টের প্রচার ও সেল ততটাই বেড়ে যাবে। ধীরে ধীরে আরও বেশি টাকা ইনভেস্ট করে আপনার মার্কেট আরো বড় করে তুলতে হবে। ভবিষ্যতে আপনার এই ব্যবসার ফ্র্যাঞ্চাইজি মডেল আপনি তৈরি করে সমগ্র দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারেন।

    বিক্রি কোথায় করবেন?

    প্রথমেই অনলাইনে আপনাকে ব্যবসা শুরু করতে হবে সুইগি , জুমটোর মতন কোম্পানির হাত ধরে শুরু করুন পাশাপাশি লোকাল মার্কেটে আইসক্রিম ও কোল্ড্রিংস এর দোকানে আপনার পোডাক্ট রাখুন। আপনার পরিচিতি একটু বাড়লে এমাজন , ফ্লিপকর্ট এর মতন কোম্পানিতে যুক্ত হয়ে যান। আপনার প্রডাক্ট ভালো হলে দেখবেন রাতারাতি আপনার ব্যবসা দাঁড়িয়ে যাবে। ব্যবসাকে আরো বড়ো করতে ধীরে ধীরে ফ্রেঞ্চাইজি মডেলে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ুন।  

    কি কি ইনোভেটিভ আইডিয়া নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করা যায়?

    এই ব্যবসায় আরো কিছু ইনোভেটিভ আইডিয়া আনতে পারলে খুব দ্রুত প্রচারের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়বেন। কিরকম ইনোভেটিভ আইডিয়া এক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যায় তা নিয়ে আপনাকে বারংবার চিন্তা করে যেতে হবে। যেমন  আইসক্রিম এর  কর্ন এর মধ্যে আপনি দই আইসক্রিম পরিবেশন করতে পারেন যা দেখে কেউ বুঝতেই পারবে না এটা আইসক্রিম নাকি দই।আবার কাপ আইসক্রিম এর পেকেজিং এর মতন করে পরিবেশন করতে পারেন। এরকম নতুন নতুন আইডিয়ার উপর আপনাকে পেতিনিওতো কাজ করে যেতে হবে। 


    দই আইসক্রিম একটি ইনোভেটিভ বিজনেস আইডিয়া যা আপনি অল্প পুজিতে শুরু করতে পারেন। এই বিষয়ে বা দই আইসক্রিম এর ব্যবসা বর্তমানে কেউ করছেন না এটি সম্পূর্ণ আমার ব্রেন প্রসূত নিজস্ব একটি অল্প পুজিতে ব্যবসার আইডিয়া। যা আমি আপনাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিলাম। এত সুন্দর একটি বিজনেস আইডিয়ার জন্য আপনাদের কাছ থেকে সুন্দর কমেন্ট ও লাইক আশা করতে পারি। যদি আমার এই ব্লগ টি বিন্দুমাত্র আপনার জ্ঞানের পরিসীমা বাড়িয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই জানাবেন বা আর কি কি বিষয়কে যুক্ত করলে এই ব্যবসাটি কে আরও সুন্দরভাবে করা যায় অবশ্যই আমাকে জানাবেন। এরকম আরো অনেক ব্যবসার আইডিয়া আমার আছে যা বর্তমানে কেউ করছে না সেগুলি জানার জন্য আমার এই ব্লগ পেজটিকে ফলো করতে থাকুন। যদি আপনার কোন বন্ধু বা পরিচিত ব্যবসা করতে চায় তবে এই পোস্টটি তার সঙ্গে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ ভাল থাকবেন , সুস্থ থাকবেন।

    আরো পড়ুন 

    পড়াশুনার পাশাপাশি ৫ টি ব্যবসা।

    চাকরির পাশাপাশি করা যায় এমন পাঁচটি ব্যবসা।

    পাঁচটি হোলসেল ব্যবসার আইডিয়া।

    কিভাবে ডোমিনোজ পিৎজার ফ্রাঞ্চাইজি নেওয়া যায়।

    অনলাইন ব্যবসা কি ও অনলাইন ব্যবসা করার অসুবিধা গুলি কি কি?

    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    নবীনতর পূর্বতন