টিফিন বা নাস্তার দোকান :
ঘরে বসে বা রাস্তার ধরে দোকান থাকলে মাত্র ১০ হাজার টাকার মধ্যেই খুলতে পারেন টিফিন বা নাস্তার দোকান। যদি আপনি নিজেই ভালো রান্না করতে পারেন তাহলে খুবই ভালো আর যদি রান্না না জানেন তাহলে যে সকল মহিলারা বাড়িতে রান্নার কাজ জানে তাদের দিয়েই রান্না করাতে পারেন। এতে একজন কুক এর থেকে অনেক বেশি সাশ্রয় হবে উপরন্তু খাবার স্বাদ ঘরের রান্নার মতন হবে , আর এটাকেই হাতিয়ার করে আপনার দোকানের প্রচার করতে পারেন এবং ধীরে ধীরে আপনার দোকানকে অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত করতে পারেন। নিজেও ডেলিভারীর জন্য লোক রেখে ব্যবসাকে আরো বড়ো করতে পারেন।
রাস্তার চারিপাশে দেখবেন অনেক খাবারের দোকান আছে যারা সুদু সকালের খাবার বানিয়ে থাকেন। লুচি,রুটি,সেনডুইচ ইত্যাদি আরো কতকি। এরকম একটি দোকান করার জন্য খুব বেশি খরচা নেয়। নিজের দোকান থাকলে মাত্র ১০ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করতে পারেন এমন ব্যবসা। মাথায় রাখবেন খাবারের দোকানে খাটনি যেমন বেশি লাভটাও কিন্তু অনেক বেশি।
হোম টিউশুনি :
ভালো লোকেশনে ঘর নিয়ে হোম টিউশুনির ব্যবসা শুরু করতে পারেন। ইস্কুল কলেজের আশপাশে ঘর ভাড়া পেলে আরো ভালো। নিজেই পড়াতে পারেন বা শিক্ষক চুক্তি ভিক্তিক নিয়োগ করতে পারেন। ১০ হাজার টাকার কমেই এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। খুব ভালহয় যদি স্কুল কলেজের শিক্ষকদের আপনার সংস্থায় নিয়োগ করতে পারেন। এতে আপনার প্রচার খুবই ভালোভাবে হয়ে যাবে। এই ব্যবসাতে লাভের অংক কম নয় অনেক বেশি। ব্যবসা বড়ো হয়েগেলে আপনি মিউজিক , ড্রইং ,সিংগিং ইত্যাদির ক্লাশ শুরু করতে পারেন। হোম টিউশুনি একটি লাভজনক ব্যবসা।
কোচিন সেন্টার কনসেপ্টটা অনেক পুরানো হলেও খুব বেশি ভালো মানের কোচিন সেন্টার খুঁজে পাওয়া মুশকিল তাই এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে যদি একটি ভালো মানের কোচিন সেন্টার চালু করতে পারেন ভালো হয়। সকোচিন সেন্টারের ক্ষেত্রে লোকেশানের গুরুত্ব অনেক বেশি। আপনি যদি কোন ইস্কুলের আশেপাশে চালু করতে পারেন বা রাস্তার খুব খাচ্ছে চালু করতে পারেন ভালো হয়। আর প্রচারে আপনাকে সবসময় থাকতে হবে বিশেষ করে ইস্কুল গুলির পরীক্ষার আগে ও পরে কারণ এই সময় ছাত্র ছাত্রী দের সংখ্যা বাড়বে। ভালো মানের কোচিন সেন্টার খুলতে পারলে ভালো ইনকাম আসতে শুরু করবে।
মোবাইল এক্সসেসরিস :
মাত্র ১০ হাজার টাকাতেই শুরু করতে পারেন মোবাইল এক্সসেসরিসের ব্যবসা। মোবাইল নেই এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া বড়ো মুশকিল। তাই মোবাইল এক্সসেসরিস এর ব্যবসার মার্কেট বিশাল বড়ো। মোবাইল এক্সসেসরিসের ব্যবসাতে লাভের অংকও খুব বেশি। তাই একটি দোকান নিয়ে বা ফুটফাতে এই ব্যবসা শুরু করেদিতে পারেন।
আপনার এলাকায় দেখবেন অনেক বোবাইলের দোকান আছে তাদের কেও যদি আপনি কমদামে মোবাইল এক্সসেসরিস ডেলিভারি করতেপারেন ভালো হয় এছাড়াও আপনি ফেসবুক মার্কেট প্লেসে মোবাইল এক্সসেসরিস বিক্রি করতে পারেন।আপনাকে খুঁজে বার করতে হবে কোথাথেকে সবথেকে সস্তায় মোবাইল এক্সসেসরিস পাওয়া যায়। ধীরে ধীরে মার্কেট কেপচার করতে পারলে এটি একটি দারুন ব্যবসার রূপ নেবে।
কাপড়ের ব্যবসা :
এমন প্রচুর কোম্পানি আছে যারা হোলসেল রেটে কাপড় দিয়ে থাকে। ১০ হাজার টাকাতে হোলসেল রেটে কাপড় কিনে রিটেলে বিক্রি করতে পারেন। নিজের দোকান থাকলে ভালো না থাকলে ফুটফাতেই শুরু করতে পারেন। ব্যবসা বড়ো হলে দোকান নিতে পারেন।
কাপড়ের ব্যবসা যে সুদু দোকানে করা যায় তা নয় , কাপড়ের ব্যবসা যেকোন অনলাইনেও করতে পারেন। অনেক ফেসবুক গ্রূপ আছে যারা লাইভ করার সুযোগ করে দেয় এবং ওই গ্রূপ গুলিতে কাপড় কেনেন এমন প্রচুর কাস্টমার ভিজিট করেন। এভাবেও দোকান না নিয়েও আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এছাড়াও অনলাইন এড দিয়েও ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
রিচার্জ ও বুকিং সেন্টার :
এই ব্যবসাতে নিজের দোকান থাকা দরকারি। যদি আপনার কাছে কম্পিউটার থাকেতো খুবি ভালো নাহলে শুরুতে মোবাইল দিয়েই এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।কি কি করবেন ? মোবাইল রিচার্জ ,ডিস্ টিভি রিচার্জ ,রেল টিকিট বুকিং ,ফ্লাইট টিকিট বুকিং ইত্যাদি এছাড়া পরবর্তী কালে আরো নতুন কিছু যুক্ত করতে পারেন। যেমন গ্যাস বুকিং , ইলেক্ট্রিক বিল জমা দেওয়া ইত্যাদি।
বিভিন্ন অনলাইন ডকুমেন্ট বানানো,অনলাইন ফর্ম ফিলাপ বা পাসফোর্ট তৈরী করতে পারেন। এই ব্যবসা থেকে ভালোই ইনকাম হয়। প্রথম দিকে রেল টিকিট করার মতন কাজ দিয়ে শুরু করতে পারেন।একটু খোঁজ নিয়ে দেখবেন এই ব্যবসা আপনার এরিয়াতে খুব কোম লোক করছেন। কিন্তু অনেক মানুষ নিজের অসুবিধাগুলি মেটাতে পারছেনা বা অনেক দূরে যাচ্ছে এই দুর্বলতার সুযোগে আপনি এই ব্যবসা শুরু করলে যথেষ্ট কাস্টমার আপনি পেয়ে যাবেন।
লেবার মিস্ত্রি সাপ্লাইয়ার :
যদি আপনার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ ভালো থাকে তাহলে আপনি একটি লেবার মিস্ত্রি সাপ্লাই ইউনিট খুলতে পারেন। এই ব্যবসাতে ইনভেস্টমেন্ট নেই বল্লেই চলে। তবে প্রচারের জন্য খরচা করতে পারলে ব্যবসা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। এই ব্যবসায় প্রচারের মাধ্যমে আপনাকে ঘর বাড়ী মেরামতের ,অফিস কাচারীর , বাথরুম ,পাইপ লাইন , কাঠের কাজের , ইলেক্ট্রিক লাইনের এধরণের বিভিন্ন কাজের কন্টাক আপনাকে তুলে লেবার সাপ্লাই করতে হবে। আগে থেকেই লেবারের একটা লিস্ট করে রাখবেন। তাদের সঙ্গে চুক্তি করে নেবেন আপনি তাদের কাজ দেবেন তার বদলে আপনি একটি লাভের পার্সেন্টেজ নেবেন। এই ব্যবসা ভালো ভাবে প্লানিং করে চালাতে পারলে খুব ভালো এবং লাভজনক ব্যবসা।
প্রচুর মানুষ দ্রুত লেবার মিস্ত্রির খোঁজ পান না। এই সুযোগে অযোগ্য লেবার মিস্ত্রি মানুষের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ঠকাচ্ছেন। এরকম অবস্থায় সঠিক লেবার মিস্ত্রি নিয়ে আপনি যদি একটি প্লার্টফর্ম তৈরী করতে পারেন এটি একটি দারুন ব্যবসা হবে। সোসালমিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার ক্রমাগত চালিয়ে যেতে হবে। লেবার মিস্ত্রির চাহিতা মার্কেটে যথেষ্ট আছে তাই এই ব্যবসা সহজেই সফলতা পেতেপারে।
সেকেন্ডহেন্ড মেবাইল ব্যবসা :
আপনার মনে হতে পারে সেকেন্ডহেন্ড মেবাইলের ব্যবসা করতে অনেক বেশি টাকা লাগে আর কথাটা সত্য। কিন্তু আপনি চাইলেই প্রথমে ছোট করে শুরু করতে পারেন। একটি বা দুটি মোবাইল দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তবে এই ব্যবসা করার আগে আপনার মোবাইল সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা থাকা দরকার। আপনাকে মোবাইলের প্রব্লেম সম্পর্কে জানতে হবে। মানুষ এখন এক বা দু বছরেই মোবাইল পাল্টে ফেলতে চায়। আর কিছু মানুষ দামি ফোন ভালো কন্ডিশনে কমদামে কিনতে চায়। আর এখানেই আপনার ব্যবসার শুরু। কমদামে দামি ফোন তুলেনিন, ছোট খাটো প্রব্লেম ঠিক করেনিন , একটু দামদিয়ে বিক্রি করেদিন। ভবিষ্যতে ব্যবসার বড়ো হওয়ার জায়গা আছে। খুব লাভ জনক ব্যবসা।
কখনো ভেবে দেখেছেন এমাজন বা ফ্লিপকার্ট-এর মতন কোম্পানি গুলো এক্সচেঞ্জে পুরাতন মোবাইল নিয়ে থাকে , তারা পুরাতন মোবাইল নিয়ে কি করে ? রিফ্যাব্রিস করে তা পুনরায় বিক্রি করে দেয়।
মোমো শপ :
১০ হাজার টাকার মধ্যে মোমো শপ এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন। দুই থেকে আড়াই হাজার টাকার মধ্যেই মোমোর বাসনপত্র এসেযাবে আর লাগবে একটি চুল্লি। নিজের দোকান থাকলে ভালো না থাকলেও ফুটফাতেও শুরু করা যায়, নিজে মোমো তৈরী করতে পারলে ভালো না পারলে যারা মোমো তৈরী করে তাদের সঙ্গে চুক্তি করে নিতে পারেন। স্বাদ আর দাম ঠিক রাখতে পারলে মাত্র ১০ হাজার তাকাতেই খোলা যায় একটি দারুন মোমো শপ।
এ ছাড়াও আপনি মোমোর হোলসেল ব্যবসা করতে পারেন। যদি আপনি খুব দ্রুত মোমো তৈরী করতে পারেন তাহলে প্রথমে খোঁজ নিন আপনার এরিয়াতে করা করা মোমো বিক্রি করছেন ,তাদের সঙ্গে কন্টাক করুন আপনি তাদের মোমো বানিয়ে সাপ্লাই দেবেন। এরকম বেশকিছু কাস্টমার পেয়ে গেলে দেখবেন দারুন একটা ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
রিপিয়ারিং ইউনিট :
টিভি , ফ্রিজ, এসি , মোবাইল রিপিয়ারিং সেন্টার খুলতে পারেন। তবে এইসব কিছু একসাথে খুলতে গেলে ১০ হাজার টাকার বেশি লাগবে। প্রথমে একটি সাবজেক্ট নিয়ে কাজ করুন ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করুন। এ ক্ষেত্রে মেকানিকদের সঙ্গে চুক্তি করে নিন। আপনি প্রচারে মনদিন মেকানিকদের দিয়ে কাজ কোরান। দারুন লাভজনক ব্যবসা।
টিভি, ফ্রিজ, এসি, ইত্যাদি রিপেয়ারিংয়ের মিস্ত্রি পাওয়া বড় মুশকিল আর যেসব দোকানদার এসব রিপেয়ারিং করে তারা ঘরে এসে করতে চায় না, দোকানে জিনিসটিকে নিয়ে যেতে সময় এবং অর্থ দুটি ব্যয় হয় সেই কারণেই অনেকের ক্ষেত্রে এটি একটি অসুবিধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আপনি যদি যথেষ্ট ভালো কিছু মিস্ত্রি কে নিয়ে একটি নতুন প্লাটফর্ম তৈরি করতে পারেন, যেখানে আপনার কাছে যেকোনো রিপেয়ারিং এর প্রবলেম নিয়ে কল করলে আপনি তার বাড়িতে মিস্ত্রি পাঠিয়ে সার্ভিস দিতে পারবেন, পরিবর্তে আপনি মিস্ত্রির কাছ থেকে কিছু কমিশন রাখবেন কারণ আপনি লিড জেনারেট করছেন এটি একটি দারুণ ব্যবসা হতে পারে যদি এটিকে ঠিকমতো করা যায়। প্রচার চালাবার জন্য সোশ্যাল মিডিয়াতে একটিভ থাকতে হবে।
টেলারিং ইউনিট :
এখন রেডিমেট জগতে টেলার খুঁজে পাওয়া খুবই মুসকিন ,অপর দিকে অনেক গ্রহবধূ ঘরেই এই ব্যবসা একটিমাত্র সেলাই মেশিন নিয়ে কাজ করছে। ১০ হাজার টাকাতেই একটি টেলারিংয়ের ইউনিট খুলে একটি মাত্র মিস্ত্রি নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কাজের লোড বেশি এলে আপনি গৃহবধূদের দিয়েও কাজ করিয়ে নিতেই পারেন। বিশ্বস্ত টেলরের দোকান খুললে লাভ যথেষ্ট আছে।
আরো পড়ুন
কিভাবে app নির্ভর একটি টেক্সী ব্যবসা শুরু করবেন।
অল্প টাকা বিনিয়োগ করে প্রচুর টাকা ইনকাম করার ৫ টি সন্ধান।
জামাকাপড়ের ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন ?
অনলাইনে সহজে টাকাউপার্জনের সঠিক উপায়।
কম পুঁজিতে কিছু লাভজনক ব্যবসা।
ভালোলাগলে আপ ভোট দিতে ভুলবেননা। আর ব্যবসা সম্পর্কে শুনতে চাইলে জিও-সাবনে আমার পডকাস্ট শুনতে পারেন ,জিও-সাবনে সার্চ করুন Business Tubelight।আর ভিডিও দেখতে ইউটিউবে সার্চ করুন #businesstubelight ধন্যবাদ।