টাকা ইনকাম করতে কেনা ভালোবাসে। আমরা সব সময় চিন্তা করি আরো কিছু বেশি টাকা কিভাবে ইনকাম করা যায়। আর অল্প টাকা বিনিয়োগ করে কিভাবে আমরা প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারি এই কথা আমরা সবসময় ভেবেথাকি কারণ আমরা জানি টাকা দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়। এই প্রতিবেদনে আমরা আজ জানবো কোথায় কোথায় অল্প কিছু টাকা ইনভেস্ট করে এক সময় প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারি।
শেয়ার মার্কেট :
শেয়ার মার্কেটে অল্প কিছু টাকা ইনভেস্ট করে আমরা ভবিষ্যতে অনেকে বেশি টাকা ইনকাম করতে পারি। শেয়ার মার্কেটে ইনভেস্ট করার আগে শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে ভালোভাবে জেনেনিন। শেয়ার মার্কেট- এ কাজ করতে আমরা অনেকেই ভয়পাই কারণ শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে ধারণা কম বা অনভিজ্ঞতা থেকে এই ভয় জন্ম নেয়। শেয়ার মার্কেটে কাজ করার আগে এ বিষয়ে ভালো করে জেনে নেওয়া উচিত। অনেক ছোট বড় কোর্স আছে প্রয়জনে তা করে নিতে পারেন বা এমন কিছু লোক মার্কেটে আছে যারা আপনার হয়ে কাজ করেথাকে তাদের খোঁজ নিন , অনেক বোকার হাউজ পেয়ে যাবেন যারা আপনাকে গাইড করবে।
শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে সহজ ভাবে বল্লে -মনেকরুন আপনি আগেথেকেই জানেন কোনো এক জাগাথেকে হাইওয়ে রাস্থা হবে কিন্তু আশেপাশের লোক জানেনা তাই ওখানের জমির দাম এখন যথেষ্ট কম। আপনি জানেন ৬ মাস পরে হাইওয়ে রাস্তার কাজ শুরু হলে জমির দাম বেড়ে যাবে তাই আপনি আজই কমদামে কিছু জমি কিনেনিলেন। ৬ মাস পরে জমির দাম ১০০ গুন্ বেড়ে গেলো আপনি প্রচুর প্রফিটের সঙ্গে জমি বিক্রি করে দিলেন , ঠিক এটাই হয় শেয়ার মার্কেটে। এখানে জমির বদলে থাকে কোম্পানি। এখানে কোম্পানি গুলিকে নিয়ে আপনাকে আপডেট থাকতে হবে। আমার মতে শেয়ার মার্কেটে দীর্ঘমেয়াদি ইনভেস্ট করতে পারলে ভালো হয়। তবে মাথায় রাখবেন লোন বা ধার করে কখনোই শেয়ার মার্কেটে ইনভেস্ট করবেননা। যে টাকা আপনার লস হলেও আপনার জীবন যাত্রায় কোনো প্রভাব ফেলবেনা সে টাকাতে শেয়ার কিনুন।
গোল্ড:
গোল্ড সবসময় একটি ভালো ইনভেস্টমেন্ট। আজ থেকে ১০ বছর আগের গোল্ডের দাম দেখুন আর আজকের দাম দেখুন আর হিসাব করুন আজথেকে ১০ বছর আগে যদি ১ লক্ষ টাকার গোল্ড কিনতেন আজ আপনি কত টাকা প্রফিট করতেন। গোল্ডের দাম চিরকাল বেড়েই চলেছে। তাই গোল্ডে ইনভেস্ট করা একটি বুদ্ধিমানের কাজ।
আপনার কাছে যদি কিছু ইনভেস্ট করার মতন টাকা থাকে আর আপনি চাইছেন যে বিনা রিস্কে এই টাকাকে বেশি করতে তাহলে আপনি ওই টাকাতে গোল্ড কিনতে পারেন। কারণ আপনি ১০ বছরের গোল্ডের দাম এর একটা চার্ট করে দেখুন যে গোল্ড এর দাম কিভাবে বেড়েছে। এই চার্ট দেখলেই আপনি বুঝতে পারবেন এখান থেকে আপনি কত বছরে কত টাকা লাভ করতে পড়বেন। নিচের চার্ট টি একটু দেখুন -
ক্রিপ্টোকারেন্সি :
ক্রিপ্টোকারেন্সি একটি ভার্চুয়াল জগত এবং এটি সম্পূর্ণ একটি নতুন ধারণা যেখান থেকে প্রচুর মানুষ রাতারাতি কোটি কোটি টাকা ইনকাম করেছে এবং কোটি কোটি টাকা লস করেছে। বাস্তব জীবনে ইনভেস্টমেন্টে যেমন সবকিছু আমরা ধরে ছুঁয়ে দেখতে পারি যেমন জমি ,সোনা ইত্যাদি কিন্তু ক্রিপ্টোকারেন্সি তে যে কারেন্সি আপনি কিনছেন তা আপনি হাতে ধরতে পারবেন না কারণ এটা ডিজিটালি এবং ভার্চুয়ালি, কিন্তু কিছু বছর ধরে এর মার্কেট অনেকটাই ডেভলপ হয়েছে কারণ মানুষের চাহিদার জন্য ডিজিটাল মার্কেট যত বেশি উন্নত হয়েছে তার পাশাপাশি ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেট যথেষ্ট উন্নতি এবং বিস্তার করেছে বর্তমানে শুধু ডিজিটাল কারেন্সি নয় NFT , ভার্চুয়াল ল্যান্ড সেল ইত্যাদি এবং কিছু গেম এর মাধ্যমে আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারেন যদি এই বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান আপনার থাকে।
শেয়ার মার্কেট এর মতন ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে সঠিক ধারণা, শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা নাথাকলে এখানে ইনভেস্ট করা উচিত নয়। তবে সঠিক ধারণার সঙ্গে আপনি ইনভেস্ট করতে পারলে আপনি এখন থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। মাথায় রাখবেন ক্রিপ্টোকারেন্সি একটি ভার্চুয়াল জগৎ এখানে বিশেষ এক্সচেঞ্জ এর মাধ্যমে কেনাকাটা করতে হয়। আপনার জানানা থাকলে যে জানে তার কাছথেকে জেনেনিন। মাথায় রাখবেন এটি খুবই রিস্কি ইনভেস্টমেন্ট তাই যে টাকা আপনার লস হলেও আপনার জীবন যাত্রায় কোনো প্রভাব ফেলবেনা সে টাকাতে ক্রিপ্টো মার্কেটে ইনভেস্ট করুন।
বৈদেশিক মুদ্রা :
বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন একটি ভালো ইনভেস্টমেন্ট। কেমনভাবে কাজ করে এটা ? মনেকরুন এখন US ডলারের দাম ইন্ডিয়ান রুপী থেকে কম কিন্তু আপনি জানেন একটিন US ডলারের দাম বেড়ে যাবে আপনি আজ ১ লক্ষ টাকার US ডলার কিনেনিলেন এবং কিছু দিন পর US ডলারের দাম বেড়ে গেলে আপনি বিক্রি করে দিলেন। এভাবেই ইনকাম করা যায়। যেকোনো বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে আপনি এই ব্যবসা করতে পারেন।
যদি শেয়ার মার্কেট বা ক্রিপ্টো মার্কেটে ইনভেস্ট করতে ভয়পান তাহলে আপনি বৈদেশিক মুদ্রাতে ইনভেস্ট করতে পারেন। এই মুদ্রা আপনি বেঙ্ক বা কিছু বৈদেশিক মুদ্রা এক্সচেঞ্জ শপ থেকে কিনতে পারেন। আপনি একটু লক্ষকরে দেখবেন কখনো কখনো ডলার বা ইউরো এর দাম কমে যায় তখন আপনি এই ডলার বা ইউরো কিনে রাখলেন দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বিক্রি করে দিলেন। এখানে আমি ডলার আর ইউরোর কথা বল্লাম এই টাকা সমস্ত দেশের হতে পারে।
সাইলেন্ট পার্টনার :
যেকোন ভালো ব্যবসার সাইলেন্ট পার্টনার হতেপারেন। আপনার বন্ধু -বান্ধব বা পরিচিত কেও কোনো ব্যবসা শুরুকরতে চলেছে কিন্তু তার টাকার কিছু সর্টেজ আছে আপনি একটি % এর বদলে কিছু টাকা দিয়ে তার ব্যবসার সাইলেন্ট পার্টনার হয়ে যেতে পারেন। এখানে আপনি টাকা দিয়ে তার বদলে লাভের অংশ নিচ্ছেন। এগ্রিমেন্ট সুন্দর করে বানিয়ে নেবেন। এখানে আপনি দীর্ঘদিন ধরে ভালো ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
অল্প ইনভেস্টমেন্টে টাকা ইনকামের ৫টি ইডিয়া আপনাদের জানালাম , কেমনলাগলো জানাতে ভুলবেননা।আরো জানতে আমাদের ব্লগটি ফলো করে রাখুন। ধন্যবাদ।
জামাকাপড়ের ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন ?
অনলাইনে সহজে টাকাউপার্জনের সঠিক উপায়।
কম পুঁজিতে কিছু লাভজনক ব্যবসা।
ভিডিও বানিয়ে প্রচুর ইনকাম করুন ।
করোকনাথ মুরগির চাষ একটি অতি লাভজনক ব্যবসা