করোকনাথ মুরগির চাষ একটি অতি লাভজনক ব্যবসা


আমরা অনেকেই অনেক নতুন নতুন ব্যবসার কথা প্রায় শুনে থাকি। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা  কড়কনাথ মুরগির ফার্ম করে কিভাবে নতুন একটি স্টার্টআপ করা যায় এবং এই ব্যবসার অপরচুনিটি কতটা আছে। কড়কনাথ বা কালো মুরগির চাষ কিভাবে করাযায় এবং কেন এর এত চাহিদা। 

জানবো  কিভাবে এই কড়কনাথ বা কালো মুরগির চাষ করে প্রতিমাসে ৫০ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করা যায় সে ব্যাপারেই জানবো। এই কড়কনাথ মুরগির কিলো ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা করে। এর ডিমের চাহিদা আছে প্রচুর। এক একটি ডিম ৩০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করা হয়। এই ব্যবসা সম্পর্কে জানার আগে আমরা জানবো কড়কনাথ বা কালো মুরগি চাহিদা এত কেন ও কড়কনাথ মুরগি কাকে বলে এবং কোথায় পাওয়া যায় এবং এর ঔষধি গুণাবলী কি কি।

কড়কনাথ মুরগি কাকে বলে?

এই কড়কনাথ মুরগী  মূলত ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের একটি প্রাণী যার আসল নাম আয়্যাম কেমানি। ভারতের উত্তর প্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশের আদিবাসী অঞ্চলে এই মুরগি পাওয়া যায় যা কালমাসি নামে পরিচিত।এই মুরগীর মাংস ও ডিম কালো হয়ে থাকে এমনকি এই মুরগীর হাড়ও কালো হয়ে থাকে। এই প্রজাতির মুরগীর  ঔষধি গুন্ ও সাধের জন্য বিখ্যাত। এই মুরগির মাংস, হাড়,ডিম সমস্ত কিছু কালো রংয়ের হয় এমনকি এর রক্ত কালচে লাল রংয়ের হয়।

আগে এই প্রজাতির মুরগী না পাওয়া গেলেও এখন অনেকেই এই প্রজাতির মুরগী চাষ করছেন। মার্কেটের চাহিদা অনুযায়ী এখনো এই মুরগী যোগান কম।কড়কনাথ মুরগীর ডিমও সুস্বাধু ও ঔষধি গুনে ভরা। এর এক একটি ডিম্ ৩০ থেকে ৫০ তাকাবিক্রি হয়ে থাকে। এখন বাজারে অনেক মুরগী বিক্রেতা এই প্রজাতির মুরগী রাখেন। সব কালো প্রজাতির মুরগী   কড়কনাথ নয়, তাই কেনার আগে একটু নজর রাখা জরুরি। 

কড়কনাথ মুরগীর চাহিদা প্রচুর কেন?

কড়কনাথ মুরগীর জনপ্রিয়তার পেছনে অনেক কটি কারণ আছে। এই মুরগি যেকোনো পরিবেশে বেড়ে উঠতে সক্ষম। কড়কনাথ মুরগীর খাবারের খরচা ও সাধারণ মুরগির প্রতিপালনের মতন।সাধারণ মুরগী চাষের ক্ষেত্রে খরচা যেমন হয়ে থাকে এ ক্ষেত্রেও তেমনি হয়। কড়কনাথ মুরগী বছরে ১০০ টি থেকে ১৪০ টি ডিম পাড়তে সক্ষম এবং এই ডিমের দাম সাধারণ ডিমের থেকে কয়েক গুন্ বেশী।  কড়কনাথ মুরগির মাংস অনেক সুস্বাদু এবং এর অনেক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে। 

বাজারের চাহিদা অনুসারে এই মুরগীর সাপ্লাই কম হওয়ার কারণে এর দাম ৮০০ টাকা কেজি থেকে ১০০০টাকা পর্যন্তএবং এই মুরগীর ডিম ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকা হয়ে থাকে। এর বচ্চা বা চিকের দাম বেশী। বাজারে যেহেতু যোগান কম তাই এই প্রজাতির মুরগী প্রতিপালন একটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে। কড়কনাথ মুরগী প্রতিপালনে উৎসাহ দিতে সরকার উৎসাহিত করছে চাষীদের। 

কড়কনাথ মুরগীর মাংসের ঔষধি গুন:

কড়কনাথ মুরগীর মাংস ও ডিমে অনেক ঔষধি গুন্ আছে।এই মুরগীর  মাংস শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করে, ব্লাড সার্কুলেশন ভালো করে, সুগার এবং প্রেসার এর জন্য এই মাংস খুবই উপকারী। আরো প্রচুর ঔষধি গুনের জন্য এই মাংসের চাহিদা প্রচুর।চাহিদার তুলনায় প্রোডাকশন কম হওয়ার জন্য এর দাম অনেক বেশি। সরকার চাষীদের অনুপপ্রেরিত করছে এই মুরগির চাষের জন্য।

কেন করবেন কড়কনাথ মুরগির চাষ?

কড়কনাথ মুরগী  যেকোনো পরিবেশে লালন পালন করতে কোন রকম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় না। স্বাদে-গুনে দেশি মুরগির থেকে অনেক বেশী ভালো। এর বাজারের চাহিদা অনেক বেশি। শুধু কড়কনাথ মুরগির মাংস নয় এর ডিম ,বাচ্চা দুটোই  অন্যান্য মুরগি থেকে অনেক বেশি দামে বিক্রি করা যায়।এই মুরগির খাবারের খরচাও অনেক কম।কড়কনাথ মুরগির মাংসের দাম প্রতি কিলো ৮০০ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। এর ডিম  ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। এক একটি বাচ্চার দাম ৭০থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত।

খুব অল্প জায়গাতে আপনি কড়কনাথ মুরগী প্রতিপালন করতে পারেন। যেহেতু এই প্রজাতির মুরগী প্রতিপালনে এক্সট্রা ঝুঁকি নেই এবং খরচা অনেক কম , দামে সাধারণ মুরগীর থেকে অনেক বেশী তাই এই মুরগী প্রতিপালন অনেক বেশী  লাভজনক। আপনার যদি মুরগী প্রতিপালন সম্পর্কে অভিজ্ঞতা থাকে  তবে অল্প কিছু  কড়কনাথ মুরগীর বাচ্চা কিনে শুরু করতে পারেন এই ব্যবসা। এটি একটি অতি লাভজনক ব্যবসা। 

আরো পড়ুন 

১০০ টাকা দিয়ে কিভাবে সফল ব্যবসা শুরু করবেন।

কিছু দারুন লাভজনক ব্যবসা যা এখুনি শুরু করতে পারেন।

বাড়ির ছাদের উপর করা যায় এমন কিছু ব্যবসা

মোবাইলের দ্বারা কিভাবে ইনকাম করাযায়।

অনলাইন ইনকামের ১০ টি ওয়েবসাইট

কড়কনাথ মুরগির পল্ট্রিফার্ম  খুলে আপনি যথেষ্ট লাভের মুখ দেখতে পারেন। তাই  মুরগির ফার্ম করার আইডিয়া জায়গা থাকলে এখনই শুরু করতে পারেন এই লাভজনক ব্যবসা এই ব্যবসা থেকে আপনি অনায়াসে ৫০ হাজার থেকে লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাভের মুখ দেখতে পারেন। আমাদের ব্লগটি ফলো করতে ভুলবেননা। আপনার মূল্যবান মতামত জানাতে ভুলবেননা।  ধন্যবাদ।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন