ভিডিও বানিয়ে প্রচুর ইনকাম করুন । পেসিভ ইনকাম |

 




যেকোন মোবাইল হাতে সবাই ক্যামেরা ম্যেন সবাই ফটোগ্রাফার।কোন ভালো দৃশ্য কেমেরাকে ফাঁকি দিতে পারেনা। না জানি আমরা প্রতিদিন কত ফটো ও ভিডিও তুলে থাকি। কিন্তু কখন ভেবে দেখেছে যদি ভিডিও তৈরী করে খুব ভালো ইনকাম করা যায় কেমন হত ? নিশ্চয় ভালো হতো। টাকা ইনকাম করতে কে না চায়। আমরা সকলেই কিছু এক্সট্রা ইনকামের কথা ভেবে থাকি। আজ এই প্রতিবেদনে আমরা জানবো সুদু মাত্র ভিডিও বানিয়ে কিভাবে আমরা যেথেষ্ট ইনকাম করতে পারি।  

এর সঙ্গে জানবো কোন কোন প্ল্যাটফর্ম আমাদের সুযোগ করে দিচ্ছে ফ্রীতে ভিডিও উপলোড করে টাকা উপার্জন করতে। আর ভিডিও বানিয়ে আর কি কি  উপায়ে টাকা উপার্জন করা যায় সে বিষয়েও জানব। পুর প্রতিবেদনটি মন দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইল। আর আমাদের ব্লগটি ফলো করতে ভুলবেননা। 

 


 এই প্রতিবেদনটি শুরু করার আগে আমি কিছু কথা আপনাদের কে জানিয়ে রাখতে চাই। আমরা অনেকেই জানতে চাই যে কিভাবে ভিডিও তৈরি করে ইনকাম করা যায়। কিছু প্লাটফর্ম আমাদের এই সুযোগ করে দেয় যে কিভাবে আমরা ভিডিও তৈরি করে ইনকাম করতে পারি। আমাদের অনেকের মনেই প্রশ্ন আসে কি ধরনের ভিডিও করলে বেশি ইনকাম করা যায়? এবং এগুলোকে কিভাবে পোস্ট করলে বা আপলোড করলে অনেক বেশি ভিউয়ার্স আমরা পেতে পারি? এবং কোন কোন উপায়ে আমরা কাজ  করতে পারি। 

ভিডিও বানাবার আগে আপনাকে কিছু বিষয় পরিষ্কার হয়ে নিতে হবে, সেটি হলো আপনি কি বিষয়ের উপর ভিডিও বানাতে চাইছেন, প্রথমেই ভিডিওর বিষয়বস্তু ঠিক  করে নিন।  আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী বা যে বিষয়ে সবথেকে ভালো জানেন সেই বিষয় কে হাতিয়ার করে আপনি ভিডিও বানানো শুরু করতে পারেন। যেমন রান্না, বই পড়া, খেলা, নাচ, গান, বা কোন টিউটোরিয়াল ভিডিও ইত্যাদি হতে পারে। আপনি যে বিষয়ে ভিডিও বানাবেন সে বিষয়ে জন্য যথেষ্ট জ্ঞান থাকার প্রয়োজন।  কারণ আপনাকে কন্টিনিউয়াসলি ভিডিও বানিয়ে যেতে হবে। ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করতে গেলে এই বিষয়টি সব সময় মাথায় রাখতে হবে যেন আপনি বিষয়বস্তু সবসময় তৈরি করতে পারেন, এমন যেন না হয় দশটা - কুড়িটা  ভিডিও বানাবার পর আপনি খেই  হারিয়ে ফেললেন বা কি বিষয় নিয়ে ভিডিও বানাবেন সেটি আর ভেবে পাচ্ছেন না। এমন যেন না হয় প্রথম থেকে  আপনি যে  সাবজেক্টটে  ভিডিও বানাতে শুরু করলেন পরবর্তীকালে আপনি অন্য সাবজেক্ট নিয়ে ভিডিও বানাতে শুরু করলেন। যে কোন একটা সাবজেক্টের উপর আপনাকে মনোনিবেশ করতে হবে এবং সেই সাবজেক্টের উপর আপনাকে কন্টিনুওসলি ভিডিও বানিয়ে যেতে হবে।

 এরকম ছোটখাটো কিছু বিষয়ের উপর প্রথম থেকেই কাজ করতে হবে  এবং প্রতিনিয়ত আপনাকে এই প্লাটফর্ম গুলোর সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে। এমন যেন না হয় এক মাস - দুমাস পরে আপনি ভিডিও দিচ্ছেন। হতে পারে সপ্তাহে আপনি দুটো বা তিনটে ভিডিও দিতেই পারেন। চলুন এবার আমরা জেনে নিই কোন কোন প্ল্যাটফর্ম আমাদের কে সুযোগ করে দিচ্ছে এরকম ফ্রিতে ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করার।

 

ইউটিউব:

ইউটিউব গুগলের একটি অনেক বড় প্ল্যাটফর্ম, যারা আমাদের সুযোগ করে দেয় ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করার। শুধু ভিডিও বানিয়ে নয় আরো অন্যান্য মাধ্যমে আমরা ইনকাম করতে পারি ইউটিউবে থেকে । ইউটিউবে একজন ক্রিকেটার হিসেবে কাজ করতে গেলে প্রথমে আপনি যে সাবজেক্ট-এর উপরে ভিডিও বানাতে চাইছেন সেই সাবজেক্ট-এ  কতগুলি ভিডিও বানাতে পারবেন  তা  লিখে নিন এবং কন্টিনিউয়াসলি ভিডিও পাঠাতে থাকুন। প্রতি সপ্তাহে মিনিমাম দু-তিনটে করে ভিডিও আপলোড করতে থাকুন।  ধিরে ধিরে আপনার ভিউয়ারস সংখ্যা যখন বাড়বে আপনার ইনকাম তখন বাড়তে শুরু করবে।

 ইউটিউব মনিটাইজেশন এর কিছু নিয়ম আছে, বর্তমানে ইউটিউব এ আপনার 1000 সাবস্ক্রাইবার এবং 4000 ঘন্টা আপনার ভিডিও ওয়াচ টাইম হলে আপনি ইনকাম করতে শুরু করবেন। এক্ষেত্রে ইউটিউব আপনার ভিডিওর উপর অ্যাডভার্টাইজমেন্ট চালাবে এবং অ্যাডভার্টাইজমেন্ট এর একটি পার্সেন্টেজ আপনি ইনকাম করতে থাকবেন।

 ইউটিউব আমাদের সম্পূর্ণ ফ্রিতে ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করার সুযোগ করে দিচ্ছে এবং অনেক ক্রিকেটার আছে যারা শুধুমাত্র ইউটিউব থেকে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে সমর্থ হচ্ছে। ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে যেমন আপনি ইনকাম করতে পারছেন আরো  অনেক রাস্তা আছে যেখান থেকে আপনি ইনকাম করতে পারেন যেমন ইউটিউব ভিডিওতে আপনার অনেক বেশি ভিউয়ার্স যদি আসে তাহলে আপনি এখান থেকে একজন কনটেন্ট ক্রিকেটার হিসেবে ইনকাম করতে পারেন, আপনার চ্যানেলে ব্র্যান্ড প্রমোশন করে আপনার ইনকাম কে আরো বাড়িয়ে তুলতে পারেন, এছাড়াও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ড্রপসিপিং ইত্যাদি অনেক রাস্তা আছে যেখান থেকে আপনি ইনকাম যথেষ্ট পরিমাণে করতে পারেন।

 ইউটিউব খুব বড় একটা প্লাটফর্ম হওয়ার দরুন এখান থেকে ইনকাম অনেক বেশি, তাই যদি ভিডিও বানিয়ে আপনি ইনকাম করতে চান প্রথমেই একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে নিন এবং ইউটিউবে যে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট আসে  তার পেমেন্ট অ্যাডসেন্স থেকে আসে, তাই এডসেন্স-এ  আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে হবে। 

 ইউটিউবে কিভাবে ইউটিউব ভিডিও বানাবেন, থাম্বেল কিভাবে তৈরি করবেন, এডসেন্স-এ কিভাবে একাউন্ট তৈরি করবেন এ বিষয়ে  ডিটেল্স ভিডিও পেয়ে যাবেন ইউটিউবে।   এগুলি নিয়ে একটু রিচার্জ করার পরে আপনি আপনার বিষয়বস্তু চয়ন  করে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারেন এবং দারুণ একটি ইনকাম জেনারেট করতে পারেন।

 

ডেইলিমোশন:

ইউটিউবের মতন আরেকটি প্ল্যাটফর্ম ডেইলিমোশন।  ডেইলিমোশনও আমাদের সুযোগ করে দেয় ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করার। এখানে ইউটিউবের মতন মনিটাইজেশনের তেমন কোনো নিয়ম নেই বল্লেই চলে। ডেইলিমোশনে আপনি প্রথম দিন থেকেই ইনকাম শুরু করতে পারেন। এখানেও আপনার ভিডিওতে যে এড আসবে সেই অ্যাডভার্টাইজমেন্ট-এর রেভিনিউয়ের একটি অংশ উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। ডেইলিমোশন যদিও ইউটিউবের মতন এতো বড়ো প্ল্যাটফর্ম নয় তবুও এখন থেকে আপনি উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। 

 

ফেসবুক পেজ ভিডিও:

ফেসবুক বর্তমানে বিশাল বড় একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ ফেসবুকে বিভিন্ন ভিডিও দেখে থাকেন। ফেসবুকে অনেক বেশি সময় তারা ব্যয় করে থাকে।  ফেসবুক আমাদের সুযোগ করে দিচ্ছে  ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করার।

ফেসবুকে ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করতে গেলে  প্রথমেই আপনাকে একটি সাবজেক্ট চয়ন  করে নিতে হবে এবং সেই সাবজেক্টের উপর একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হবে. ফেসবুক পেজে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে থাকলে আপনি এখান থেকেও যথেষ্ট ভালো ইনকাম তৈরি করতে পারেন।

 ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশনেরো  কিছু নিয়ম আছে, যেমন ১০ হাজার ফলোয়ার এবং ৩০,০০০ মিনিট  আপনার ভিডিও ওয়াচ টাইম হতে হবে। এই বিষয়গুলোর উপর আপনি একটু নলেজ গেদার করে নিয়ে একটি দারুণ ফেসবুক পেজ শুরু করতে পারেন। ফেসবুক পেজেও ইউটিউব এর মত অ্যাড দেওয়া হয় এবং সেই অ্যাড-এর একটি অংশ আপনাকে রেভিনিউ হিসেবে দেওয়া হয়।

 ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ড্রপ শিপিং, কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে এবং ব্র্যান্ড প্রমোশন করে আপনার ইনকাম আরো কয়েক গুণ বাড়িয়ে নিতে পারেন।

 তাই যদি ভিডিও ক্রিকেটার হিসেবে আপনি কাজ করতে চান তাহলে আজই একটি ফেসবুক পেজ খুলে নিন এবং শুরু করুন। ভিডিও ক্রিয়েটর হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি একটি দারুণ ইনকাম আপনার জন্য তৈরি করে নিন।

 

শর্ট ভিডিও / রিল ভিডিও:

রীল ভিডিও আসলে একটি শর্ট ভিডিও। ফেসবুক, ইউটিউব থেকে যেমন আপনি লং ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করতে পারেন পাশাপাশি ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম প্রত্যেকটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম আপনাকে সুযোগ করে দিচ্ছে 15 সেকেন্ড থেকে 60 সেকেন্ডের ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করার। 

আমরা প্রতিনিয়ত যখন সোশ্যাল মিডিয়ার পেজগুলোকে স্ক্রল  করতে থাকি তখন দেখি অনেক ছোট ছোট ভিডিও আমাদের সামনে আসে। সেগুলো খুব বড় না হলেও কিন্তু খুব আকর্ষক হয়।এই ধরণের ভিডিওকে রীল ভিডিও বা শর্ট ভিডিও বলা হয়। ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং আরো অনেক কিছু অ্যাপ আমাদের সুযোগ করে দেয় এ ধরণের শর্ট ভিডিও   বানিয়ে ইনকাম করার। আপনি রিল ভিডিও বা শর্ট ভিডিও  ডাইরেক্ট ইউটিউবে পোস্ট করতে পারেন, ফেসবুকে পোস্ট করতে পারেন, ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করতে পারেন এছাড়াও আরো ছোট ছোট কিছু অ্যাপ আছে যারা সুযোগ করে দিচ্ছে  এ ধরণের ভিডিও ফ্রীতে আপলোড করার।

রীল ভিডিও বা শর্ট ভিডিও বানিয়ে অনেক  ক্রিয়েটোররা  লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করে থাকে। যেহেতু এটি ছোট ভিডিও তাই আপনার ভিডিওর বিষয়বস্তু আকর্ষণীয় হওয়া প্রয়োজন এবং এখান থেকে রেগুলার  ভিডিও বানিয়ে খুব তাড়াতাড়ি ইনকাম তৈরি করা যায়। যদি আপনি শর্ট ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করতে চান , আজি আপনি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে যান এবং শুরু করুন ছোট ছোট ভিডিও তৈরি করা। ভিডিও গুলি  আপনার মোবাইল দিয়েই রেকর্ড করা  শুরু করতে পারেন। মোবাইলে তোলা ভিডিওগুলি সাধারণ পোস্ট না করে আপনি এগুলো কে রীল বা শর্ট ভিডিওতে পোস্ট করুন , তাতে একদিকে যেমন আপনার ভিডিও অনেক বেশি লোক দেখবে আর ওপর দিকে আপনার ইনকাম হওয়ার সুযোগ বেড়ে যাবে। আজ থেকেই ভিডিও পোস্ট করতে শুরু করুন যাতে আপনার একটি ইনকামের রাস্তা খুলে যায়।

আরো পড়ুন 


এরকম আরো অনেক সাইট আছে যেখান থেকে আপনি ফ্রিতে ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করতে পারেন কিন্তু আমি এখানে সবথেকে জনপ্রিয় সাইট গুলোর নাম লিখলাম। ভিডিও বানাবার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেমনঃ 

*ভিডিওর কন্টেন্ট আপনার নিজস্ব হতে হবে। 

*অন্নের ভিডিও কপি করে পোষ্ট করবেননা।

*ভিডিওতে বেবহৃত কোনো কন্টেন্ট কপি করলে চলবে না। 

*ভিডিওতে বেবহৃত  মিউজিক,ফটো সব কিছুই নিজস্ব হতে হবে। 

*নিয়মিত ভিডিও উপলোড করে যেতে হবে।

*ভিডিওর বিষয়বস্থু আকর্ষক হতে হবে। 

*কেমেরা ও লাইট কোয়ালিটি ভালো হতে হবে। 

*ভিডিওর বিষয় সাধারণ মানুষ যেন বুঝতে পারেন। 

*ভিডিওতে ববহৃত থাম্বেল যেন আকর্ষক হয়। 

*ভিডিওতে কোনো মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেবেননা। 

এরকম আরো অনেক বিষয়ে আপনাকে নজর রাখতে হবে। 

 যদি লেখাটা ভালো লেগে থাকে আমাদের ব্লগটিকে ফলো করতে ভুলবেন না। আপনার মূল্যবান মতামত আমাদের জানাতে ভুলবেন না। 

করোকনাথ মুরগির চাষ একটি অতি লাভজনক ব্যবসা

১০০ টাকা দিয়ে কিভাবে সফল ব্যবসা শুরু করবেন।

কিছু দারুন লাভজনক ব্যবসা যা এখুনি শুরু করতে পারেন।

বাড়ির ছাদের উপর করা যায় এমন কিছু ব্যবসা

মোবাইলের দ্বারা কিভাবে ইনকাম করাযায়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন