টাকা উপার্জন করতে কেনা চাই তাই আমরা বিভিন্ন মাধ্যম খোঁজে থাকি টাকা উপার্জনের। আমরা অনেকেই শুনেছি অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা যায় একথা কতটা সত্যি কতটা মিথ্যা সেটা আজ আমরা জানব, তার আগে বলে রাখি অনলাইন মার্কেট আজ অনেকটাই বিস্তার করেছে। আমাদের প্রতিদিনের জীবনে অনলাইন অনেকখানি অংশ দখল করে রয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মোবাইলে বা কম্পিউটারে আমরা বেশিরভাগ সময় কাটিয়ে থাকি।
এই অনলাইনে দু'ধরনের মানুষ আছেন যারা ভিউয়ার্স অর্থাৎ যারা এন্টারটেইনমেন্ট পারপাস এবং কিছু শেখার জন্য অনলাইনে আসেন , আরেক ধরনের মানুষ যারা ক্রিয়েটর যারা অনলাইনে প্রতিদিনই কিছু না কিছু কনটেন্ট দিয়ে যাচ্ছে আর তাদের কন্টেন্টগুলি যারা ভিউয়ার্স তারা দেখছে এবং সেখান থেকে কিছু শিখছে অথবা এন্টারটেইন হচ্ছে। এই দুই ধরনের মানুষের মধ্যে যারা ক্রিয়েটর তারা অনলাইন থেকে যথেষ্ট ভালো ইনকাম জেনারেট করে। আজকের এই প্রতিবেদনে অনলাইনে কি কি ভাবে আমরা ইনকাম করতে পারি তারই কিছু পথের সন্ধান করবো এবং জানব যে এখান থেকে কত টাকা পর্যন্ত উপার্জন করা সম্ভব।
অনলাইনে ইনকাম করতে গেলে আপনি যে বিষয়ের উপরে কাজ করবেন সে বিষয় সম্পর্কে সঠিক শিক্ষা এবং সঠিক পথ জানা খুব জরুরী কারণ আমরা সকলেই জানি টাকা ইনকাম করা কিন্তু সহজ কথা নয়, তার জন্য চাই পারদর্শিতা ও দক্ষতার। অনলাইনের ক্ষেত্রে এই নিয়ম একই থাকে। আপনি যদি পারদর্শিতার সঙ্গে কোন কাজ করে যেতে পারেন এখান থেকেও মোটা অংকের টাকা আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইন মার্কেট আগের তুলনায় অনেক বেশি প্রসারিত হয়েছে আর অনলাইনে ইনকাম করার জন্য আজ কিন্তু প্রচুর লোক কাজ করছে এ অবস্থায় প্রথমদিকে আপনি কিন্তু যথেষ্ট কম্পিটিশনের সামনাসামনি হবেন মানসিক ভাবে তৈরি থাকলে আপনি অনলাইন থেকে যথেষ্ট ভালো ইনকাম করতে পারবেন। আজকের এই প্রতিবেদনটি কিভাবে সহজেই অনলাইন থেকে টাকা উপার্জন করা যায় সে বিষয়ে।
লেখাটা ভালোলাগলে আমাদের ব্লগটিকে ফলো করতে ভুলবেননা।
ফ্রীলেন্সার
প্রচুর মানুষ অনলাইনে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করে থাকেন। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করাটা কি জিনিস সেটা আগেই জেনে নেওয়া উচিত। আপনি যে বিষয়গুলি সম্পর্কে জানেন যেমন ওয়েব ডেভলপিং, ফটোশপ, ভিডিও এডিটিং, আর্কিটেকচার ইত্যাদি অনেক কিছু হতে পারে। আপনি যে বিষয়ে জানেন সেই বিষয়ের উপরে স্বতন্ত্রভাবে কাজ করা হচ্ছে ফ্রিল্যান্স। অনলাইন জগতে প্রচুর মানুষ এই কাজগুলো জানে না অথবা সময়ের অভাবে করতে পারেনা, তারা এই কাজগুলোকে ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে করিয়ে নিতে চায় এবং তার পরিবর্তে মোটা অংকের টাকা দিয়ে থাকে। অনলাইনে কিছু প্ল্যাটফর্ম আছে যারা ক্লাইন এবং ক্রিয়েটর এই দুজনের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে। তাই আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে চান তো প্রথমেই আপনাকে ওই সাইটগুলিতে যুক্ত হয়ে যেতে হবে। এরকম কিছু সাইট হচ্ছে freelancer.com এবং fiber.com আরো অনেক সাইট আছে একটু খোঁজখবর নিলে পেয়ে যাবেন।
মূলত আপনি যে বিষয়ের উপরে দক্ষ সেই বিষয় নিয়ে আপনাকে একটি গিগ তৈরি করতে হয় অর্থাৎ আপনার প্রোফাইল টা কে সুন্দরভাবে রেডি করতে হয়। আপনাকে সেখানে ক্লাইন্টের জন্য লিখতে হবে যে আপনি এই বিষয়গুলোতে পারদর্শী এবং বহু বছর ধরে এই বিষয়গুলোর উপর কাজ করছেন এবং আপনি এই কাজগুলো করার জন্য 1 ডলার থেকে শুরু করে 100 ডলার পর্যন্ত চার্জ করতে পারেন। এই সাইট গুলিতে যারা এই কাজ নিয়ে দেখতে আসে তারা আপনার মত লোকদের খুঁজে থাকেন ,যারা কম পয়সায় ,কম সময়ে প্রফেশনালি কাজগুলো করে ডেলিভারি করতে পারে। সাইট গুলি আপনার সঙ্গে ক্লাইন্টের যোগাযোগ স্থাপন করিয়ে দেয়। এই কাজটি আপনি করে ক্লাইন্টকে ডেলিভারি করলে আপনি পেমেন্ট পেয়ে যাবেন।
ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কাজ করার মজা- এখানে আপনার ওপর কেউ নেই , আপনি নিজেই নিজের বস। আপনি আপনার নিজের টাইম অনুযায়ী এই কাজগুলো করবেন। এখানে কেউ আপনাকে কাজ করার জন্য তাড়া দেবে না কারণ আপনি ক্লায়েন্টের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখার জন্য কাজ করবেন। আপনি নিজের জন্য নিজে কাজ করছেন।
ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কাজ করে বহু লোক কোটি কোটি টাকা ইনকাম করে থাকে। বহু বছর ধরে তারা কাজ করছে তাই অভিজ্ঞতা তাদের অনেক বেশি। আপনি শুরুতেই অল্প টাকা নিয়ে এই কাজটা শুরু করতে পারেন। ক্লায়েন্টের কাছ থেকে প্রথমে অল্প টাকা নিলে এতে আপনার রেপুটেশন অনেকটা বাড়বে কারন আপনার প্রোফাইলে দেখাবে আপনি কত ক্লাইন্টের কাজ করেছেন এবং ক্লায়েন্টের ফিডব্যাক এক্ষেত্রে আপনার জন্য খুবই জরুরী। তাদের ফিডব্যাক দেখে অন্য ক্লায়েন্টরা আপনার কাছে তাদের প্রজেক্ট নিয়ে আসবে। এভাবে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে হয়। অতএব আপনার মধ্যে কি দক্ষতা আছে সেটাকে প্রথমে খুঁজে বার করুন এবং সেই দক্ষতা নিয়ে আপনি শুরু করুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে অনলাইনে কাজ করা। অনলাইনে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করার জন্য যে সাইটগুলো রয়েছে সেই সাইটগুলিতে সুন্দর প্রোফাইল বানিয়ে যুক্ত হয়ে যান এবং শুরু করুন আপনার ফ্রিল্যান্সার হিসাবে যাত্রা।
*ছবি গুলি গুগল থেকে সংগৃহিত *
ব্লগ বা লেখালেখি
ব্লগে শুধুমাত্র লেখালেখি করে ও আপনি অনলাইনে যথেষ্ট ভালো একটি ইনকাম তৈরি করতে পারেন। যারা ব্লগ সম্পর্কে জানেন না তাদেরকে একটু ধারনা দিই - আপনি যখন ফেসবুক বা গুগল করেন তখন দেখবেন কিছু নিউজ আপনার সামনে চলে আসে যেগুলো তে ক্লিক করলে অনেক বড় লেখা থাকে এবং সেই লেখা গুলো আপনারা পড়েন এগুলোই হচ্ছে ব্লগ।আবার কোনো বিষয়ে গুগলে যখন সার্চ করেন সেই বিষয়ে অনেক লেখালেখি আপনার সামনে চলে আসে সেই পেজগুলোকে বলা হয় ব্লগ। ব্লগ লিখে আপনি যথেষ্ট পরিমাণে ইনকাম করতে পারেন। কারণ ব্লগগুলিতে অনেক বেশি ভিজিটর আসেন বলে এখানে কোম্পানিগুলি অ্যাডভার্টাইজ দিয়ে থাকে আর এই এডভেটাইজ থেকে আপনাকে একটা কমিশন দেওয়া হয়। যত বেশি ভিউয়ার্স আপনার ব্লগে ভিজিট করবে তার উপর নির্ভর করে আপনি ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ব্লগ আমরা কিভাবে শুরু করতে পারি সে বিষয়ে আমরা জানবো। গুগলের একটি নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম আছে blogger.com এটি সম্পুর্ন ফ্রি এখান থেকে আপনি ফ্রিতে লেখালেখি করতে পারেন অথবা ওয়ার্ডপ্রেসে আপনি নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে লেখালেখি করতে পারেন। এর পাশাপাশি একটি সাইট আছে quora.com যারা বর্তমানে লেখালেখির জন্য প্রচুর জনপ্রিয়তা পেয়েছে সেখান থেকেও আপনি মঞ্চ তৈরি করে ইনকাম তৈরি করতে পারেন যে বিষয়ে আপনার দক্ষতা আছে বা যে বিষয়ে আপনি যথেষ্ট জানেন যেমন রান্না, খেলা-ধুলা, সিনেমা, ওয়েব সিরিজ ইত্যাদি বিষয়ে আপনি লিখতে পারবেন বা ব্লগ শুরু করতে পারেন ।
প্রচুর মানুষ আছে যারা এগুলো পড়তে ভালবাসে এবং তাদের চাহিদার জন্য খুঁজেও থাকেন। তাদের জন্য যদি আপনি সুন্দরভাবে একটি ব্লগ তৈরি করতে পারেন, সেখান থেকে আপনি মাসে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি হয়তো জানেন না ভারতবর্ষে এমন অনেক আন্ডারগ্রাউন্ড ব্লগার আছে যারা মাসে লক্ষ্য থেকে কোটি টাকা ইনকাম করে শুধুমাত্র ব্লগিং করে। প্রথমেই আপনি হয়তো অত টাকা ইনকাম করতে পারবেন না তবে প্রথম দিকে আপনি কম ইনকাম থেকেই শুরু করুন আপনার জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইনকাম বাড়তে থাকবে।
ব্লগিং একটি দারুন সাবজেক্ট অনলাইনে ইনকাম করার জন্য। যে বিষয়ে আপনি পারদর্শী বা যে বিষয়ে আপনি সবথেকে ভালো জানেন সেই বিষয় নিয়ে লেখালেখি করে অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন। তো আজই শুরু করে দিন একটি ব্লগিং সাইট গুগলের blogger.com ফ্রি সাইট থেকে। এক্ষেত্রে আপনার 10 পয়সা ইনভেস্ট করতে হবে না, সম্পূর্ণ ফ্রি তে আপনি আপনার জন্য একটি ভালো ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।
*ছবি গুলি গুগল থেকে সংগৃহিত *
ভিডিও বানিয়ে ইনকাম
অনলাইনে ভিডিও বানিয়ে আপনি যথেষ্ট ভালো একটা ইনকাম করতে পারেন। অনলাইনে ভিডিও বানাবার জন্য এবং ইনকাম করার জন্য কিছু প্লাটফর্ম আমাদের সুযোগ করে দেয় যেমন গুগোল এর তরফ থেকে youtube.com এবং ফেসবুকের তরফ থেকে ফেসবুক পেইজ ও আরো অনেক সাইট আছে যেমন dailymotion.com ইত্যাদি।
আপনি যে বিষয়ে যথেষ্ট ভাল জানেন এবং যে বিষয়ে দক্ষ সেই বিষয়ের উপরে ভিডিও বানাতে পারেন। মিনিমাম 12 মিনিটের ভিডিও বানালে ইউটিউব আপনাকে যথেষ্ট ভালো একটা ইনকাম দেয়। ইউটিউব এবং ফেসবুক থেকে প্রচুর লোক প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। এদের ইনকাম এর মডেল টা একটু অন্যরকম , আপনি যে ভিডিও বানাচ্ছেন সেই ভিডিওতে এডভেটাইজাররা এডভেটাইজ দিয়ে থাকেন এবং সেই এডের জন্য টাকার একটা অংশ আপনি ইনকাম হিসেবে পেয়ে থাকেন।
ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করার জন্য খুব জনপ্রিয় সাইট ইউটিউব। ইউটিউব আজ বহু বছর ধরে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম দিয়ে যাচ্ছে ক্রিকেটারদের , এবং নতুন হলেও ফেসবুক যথেষ্ট ভালো ইনকাম দিচ্ছে তাই আমি বলি ফেসবুকে সাধারণ ভিডিও পোস্ট না করে অবশ্যই ফেসবুক পেজে ভিডিও পোস্ট করা উচিত।
একবার যদি আপনার কোন ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় তাহলে আপনার ইনকাম আপনার কল্পনা থেকে অনেক বেশি হতে পারে। ইউটিউব এবং ডেলিমোশন প্রায় একসাথে যাত্রা শুরু করলেও গুগোলের ইউটিউব যথেষ্ট জনপ্রিয়তা সারা পৃথিবীতে পেয়েছে। ইউটিউবে পাওয়া যায় না এমন কোন ভিডিও নেই তাই আপনি আপনার প্রিয় সাবজেক্ট নিয়ে ইউটিউবে বা ফেসবুক পেজে ভিডিও বানাতে পারেন, পাশাপাশি ডেলিমোশনে আপনি ভিডিও বানাতে পারেন। ভিডিও বানানোর জন্য খুব ভালো ক্যামেরার দরকার নেই, শুধুমাত্র মোবাইল দিয়ে আপনি এই কাজটি শুরু করতে পারেন। প্রচুর ক্রিয়েটর আছে মোবাইলের মাধ্যমে টিউটোরিয়াল ভিডিও বা রান্নার ভিডিও বা খেলাধুলা ইত্যাদি ভিডিও বানিয়ে প্রচুর টাকা ইনকাম করছে, তাই আজই শুরু করুন একটি ভিডিও প্লাটফর্ম অনলাইনে। ভিডিও প্ল্যাটফর্মেআপনি ইনফুলুইনসার মার্কেটিং ,ব্র্যান্ড প্রমোশন ,এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আরো বেশি ইনকাম করতে পারেন।
অনলাইনে ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করা আজ একটি জনপ্রিয় বিষয় তাই আপনিও দিনের অল্প কিছু সময় ব্যয় করে একটি ভিডিও প্ল্যাটফর্ম-এ যুক্ত হয়ে ভিডিও বানানো শুরু করতে পারেন এবং এখান থেকে যথেষ্ট ভালো ইনকাম তৈরি করতে পারেন, তাই আজই যুক্ত হয়ে যান একটি অনলাইন ভিডিও প্লাটফর্ম-এর সঙ্গে।
*ছবি গুলি গুগল থেকে সংগৃহিত *
এফিলিয়েটেড মার্কেটিং
ইন্টারনেটের বিস্তারের দৌলতে আজ আমরা ঘরে বসেই সব কিছু পেয়ে যায় হাতের মুঠোয়। আজ সাধারন মানুষ-এরবেশিরভাগ অংশ অনলাইন কেনাকাটায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। অনলাইনে আজ ঘরে বসেই জুতো থেকে জামা, মাছ থেকে রান্না করে সবকিছু অনলাইনে অর্ডার করতে পারি। এই অনলাইন কেনাকাটার মার্কেট আজ বিশাল বড় হয়ে গেছে, আগামী দিনগুলোতে এই মার্কেট আরো বিস্তার করবে আর এরই পাশাপাশি যারা অনলাইনে ইনকাম করতে চায় তাদের জন্য আরেকটি নতুন দরজা খুলে গেছে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি সে বিষয়ে ছোট করে বলে দিই - বিভিন্ন ই-কমার্স সাইটে প্রচুর নামিদামি ছোট-বড় কোম্পানি তাদের প্রোডাক্টের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন, কিন্তু কাস্টমার কার দোকানের প্রোডাক্ট কিনবে সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে এডভারটাইজমেন্ট বা মার্কেটিংয়ের ওপরে। আর একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারের কাজ বিশেষ কোন প্রোডাক্টে কাস্টমারের কাছে প্রচার করা এবং কাস্টমার যখন ওই প্রোডাক্টটি কিনবে তখন তার একটা কমিশন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার পেয়ে যান একে বলা হয় এফিলিয়েট মার্কেটিং। এখানে ই-কমার্স সাইট গুলোতে যে প্রোডাক্ট গুলো আছে বা কোম্পানির হয়ে আপনি তাদের প্রোডাক্ট এর প্রচার করবেন এবং আপনার মাধ্যমে যখনই কেউ কিনবে তার একটা ভালো কমিশন আপনি পেয়ে যাবেন এক্ষেত্রে কাস্টমারকে অতিরিক্ত পয়সা দিতে হয়না।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে যথেষ্ট ভাল ইনকাম জেনারেট করা যায়। কিছু নামকরা ই-কমার্স সাইট যেমন ফ্লিপকার্ট ,অ্যামাজন ইত্যাদি কোম্পানি গুলি সুযোগ করে দিচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে উপার্জন করার। এর বাইরে আরও অনেক সাইট আছে যারা গ্লোবালি প্রোডাক্ট গুলি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার সুযোগ করে দেয় যেমন digistore24,clickbank ইত্যাদি। এদের প্রোডাক্ট মার্কেটিং করে এক ডলার থেকে একশ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন। এখানে পাওয়া যায় না এমন কোন প্রোডাক্ট নেই. ডিজিটাল প্রোডাক্ট থেকে ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট সমস্তকিছুই মার্কেটিং করার সুযোগ করে দিচ্ছে।
একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসাবে আপনি কাজ করতে পারলে যথেষ্ট ভালো একটি ইনকা জেনারেট করতে সক্ষম হবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রতি মাসে প্রচুর লোক লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ছোট-বড় অনেক কোর্স অনলাইনে পাওয়া যায় প্রয়োজনে সে গুলি করে নিলে এই ব্যাপারে আপনার ধ্যান-ধারণা অনেক বেশি বেড়ে যাবে এবং ইনকাম করার সুযোগও অনেক বেশি বেড়ে যাবে। তাই সময় নষ্ট না করে একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-এর কাজ শুরু করতে পারেন।
*ছবি গুলি গুগল থেকে সংগৃহিত *
ড্রপসিপিং
ড্রপশিপিং অনলাইনে ইনকাম করার যথেষ্ট একটি জনপ্রিয় রাস্তা। ড্রপশিপিং করে প্রচুর টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এই ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনার নিজস্ব কোন প্রোডাক্ট এর প্রয়োজন নেই আপনি অন্য কোম্পানির প্রোডাক্ট অন্য কাউকে বেচে দিতে পারলে এবং তা কোম্পানি নিজেই ডেলিভারি করবে একে বলা হয় ড্রপশিপিং।
মনে করুন একজন ব্যক্তি অ্যামাজনে একটি মানি ব্যাগের দাম দেখলো ১০০ ডলার কিন্তু ওই মানিব্যাগটি অন্য একটি সাইটে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১০ ডলারে আপনি ওই ব্যক্তিকে জানালেন যে এই মানিব্যাগটি আপনি ৯০ ডলার এ তাকে দিতে পারবেন সেই ব্যক্তি যখন দেখবে তারপর সেভ হচ্ছে তখন সে আপনার কাছ থেকে প্রোডাক্টটি কিনতে চাইবে , আপনি যেখান থেকে খুব কম দামে প্রোডাক্ট পাচ্ছেন সেখানে কাস্টমারের বাড়ির এড্রেসে বুক করিয়ে দিলেন এবং কাস্টমার এর কাছ থেকে পেমেন্ট নিয়ে নিলেন। সামান্য এই কাজটির জন্য আপনি একবারে ৮০ ডলার প্রফিট করতে পারবেন।
ইন্টারনেটে প্রতিদিন হাজার হাজার সাইট আসছে আর এরকম ই-কমার্স সাইটের অভাব নেই অতএব কোন প্রোডাক্ট কোথায় সব থেকে কম দামে পাওয়া যাচ্ছে, সেটা জানলেই কাজটা করতে ইজি হয়ে যাবে। ড্রপশিপিং করেও আপনি যথেষ্ট ভালো একটি ইনকাম জেনারেট করতে পারেন কিন্তু ড্রপশিপিং করার আগে আপনাকে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ভিজিট করে প্রডাক্টের দাম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে. কোথায় কোন প্রোডাক্ট কত কম দামে পাওয়া যাচ্ছে এবং কোন প্রোডাক্ট কোথায় কত বেশী দামে বিক্রি হচ্ছে এর হিসাব যদি নখদর্পণে থাকে তাহলে আপনি এই ব্যবসা সুন্দর ভাবে শুরু করতে পারেন। ড্রপশিপিং করে প্রতি মাসে দারুন ইনকাম করতে সমর্থ হবেন।
আরো পড়ুন
কম পুঁজিতে কিছু লাভজনক ব্যবসা।
ভিডিও বানিয়ে প্রচুর ইনকাম করুন ।
করোকনাথ মুরগির চাষ একটি অতি লাভজনক ব্যবসা
১০০ টাকা দিয়ে কিভাবে সফল ব্যবসা শুরু করবেন।
কিছু দারুন লাভজনক ব্যবসা যা এখুনি শুরু করতে পারেন।
কে বলেছে অনলাইনে ইনকাম করা যায় না। সঠিক বুদ্ধি নিয়ে কাজ করলে অনলাইনে অনেক বেশি ইনকাম করা সম্ভব। আমি আজকের প্রতিবেদনে এরকমই কিছু আইডিয়া আপনাদেরকে সংক্ষেপে জানালাম। আপনি যে বিষয়ে কাজ করতে চাইছেন সে বিষয় নিয়ে আরো বিস্তারে প্রথমেই জেনে নিন , প্রয়োজনে ছোটখাটো কোন কোর্স করে নিন যাতে এই কাজটিকে সম্পূর্ণ ভালোভাবে করতে পারেন। অনলাইনে ইনকাম একবার জেনারেট হলে আপনি অফলাইনে আর কাজ করতে চাইবেন না কারণ অফলাইনে যে পরিমাণ খাটনিতে যে পরিমাণ টাকা পাওয়া যায় অনলাইনে সঠিক কৌশলে কাজ করলে তার থেকে ঢের গুণ বেশি টাকা ইনকাম করা সম্ভব। আজকের প্রতিবেদনটি কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না, আমাদের এই পেজটি কে ফলো করে রাখবেন এবং আপনার মূল্যবান মতামত আমাদের অবশ্যই জানাবেন।ধন্যবাদ।