অনলাইন ব্যবসা কি ও অনলাইন ব্যবসা করার অসুবিধা গুলি কি কি?

এই ইন্টারনেটের যুগে আমরা সবাই ইন্টারনেটের দাস হয়ে পড়েছি। পকেটে বন্দি মোবাইলে সারাদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ নজর বন্দি হয়ে পড়েছে । বিশ্বকে যেন হাতের মুঠোয় এনে পকেটে বন্দি করেছে ইন্টারনেট। ইন্টারনেটে  আজ বিনোদন থেকে ব্যবসা সবকিছুকেই  যেন করে তুলেছে  সহজ ও সরল। আজ আর ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে যেতে হয় না ব্যাংকে। বাজার থেকে মাছ কিনতে বাজারে না গেলেও চলে। বেহালার  অজয় বাবু বৌএর  জন্য শাড়ি অর্ডার দেয় অনলাইনে। অনলাইন ব্যবসার দৌলতে পাশের পাড়ার ঝুম্পা বৌদির আমের আচার সারা ভারত বর্ষ খাচ্ছে  আঙ্গুল চেটে। মাঝরাতের খিদে মেটাচ্ছে পাড়ার বিরিয়ানির দোকান। সবকিছুই সম্ভব হচ্ছে ইন্টারনেটে অনলাইন ব্যবসার বিস্তারের দৌলতে । কি ব্যবসা নেই অনলাইনে জুতো থেকে শুরু করে আলপিন পর্যন্ত অর্ডার করে পেয়ে যাবেন । পাড়ার মুদির দোকান থেকে ফুচকাওয়ালা সবাই ব্যবসা করছে অনলাইনে। আজ এই প্রতিবেদনে আমরা জানব অনলাইন ব্যবসা কি, অনলাইনে ব্যবসা করার সুবিধা গুলি কি কি।

     অনলাইন ব্যবসা কি?(what is online business?)

    সাধারণত আমরা ব্যবসা বলতে  যা জানি অনলাইন ব্যবসার সঙ্গে তার তেমন কিছু পার্থক নেই বল্লেই চলে তবে সাধারণ ব্যবসার থেকে অনলাইন ব্যবসার লাভ ও প্রচার,প্রসার  অনেক বেশি। একটু সহজ করে বললে - আপনি যদি একটি সাধারণ ব্যবসা করতে চান তার জন্য দরকার একটি দোকান, অফিস বা গোডাউন। এবং আপনার ব্যবসার কথা সকলকে জানাতে দরকার পোস্টার ,বেনার,টিভি ও রেডিও এড। এতে অসুবিধা হলো দোকান, অফিস বা গোডাউনের জন্য অনেক বেশি খরচ বেড়ে যায় ও খরচা করে পোস্টার বেনার,টিভি ও রেডিও এড খুব বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারেনা তাই আপনার ব্র্যান্ড বানাবার খরচ ও সময় অনেক বেশি লেগে যায় এবং আপনার ব্যবসা একটি নির্দিষ্ট এলাকা কেন্দ্রীক হয়ে থেকে যায়।  অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে কিন্তু এই অসুবিধা গুলি নেই। যেমন - দোকান, অফিস বা গোডাউন অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে না নিলেও চলে. অনেকে ব্যবসার ক্ষেত্রে  অফিস বা গোডাউন যদিও প্রয়জন  হয় কিন্তু অনলাই ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রথমেই এগুলি না থাকলেও আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারেন, অপরদিকে অনলাইন এড অনেক কম খরচে ও কম সময়ে আপনার ব্র্যান্ড ভেলু বাড়িয়ে তোলে। এবং আপনার কাস্টমার পরিধি পুরো বিশ্বের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে করেতোলে। অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রচুর কাস্টমার হওয়ার দরুন সেল অনেক বেশী হয় তাই লাভও অনেক বেশি হয়। আজ এই সুবিধা ও  অসুবিধা মানুষ বুঝতে পেরেছে বলেই দেখবেন পাড়ার মুদিখানা থেকে ছোট ছোট রেস্টুরেন্ট সবাই অনলাইনে ব্যবসা করছে। আজ অনলাইনে অর্ডার করলে ঘরে বসেই খাবার,ওষুধ, জামাকাপড় এমনকি রান্নার কাচা বাজার পৌঁছে যাবে আপনার দরজায়। এ সবই অনলাইন ব্যবসা। 

    কিকি সুবিধা আছে অনলাইন ব্যবসার :-

    * আমরা কোনো ব্যবসা করতে গেলে আমাদের প্রয়জন হয় একটা দোকান বা স্থান , আর এর জন্য প্রয়জন  হয় যথেষ্ট অর্থের আর পরিশ্রম।  কিন্তু অনলাইন ব্যবসাতে এই দোকানের প্রয়জন নেই বল্লেই চলে। 

    * অনলাইন ব্যবসাতে টাকা লেনদেন এর সুবিধাও প্রচুর। এখানে হিসাবের গন্ডগোল হওয়ার চান্স খুবই কম। কারণ অনলাইন ব্যবসার প্লাটফ্রম গুলি এই সুবিধা গুলি ফ্রীতে দিয়ে থাকে। 

    * অফলাই ব্যবসার তুলনায় অনলাইন ব্যবসায় খরচা অনেকটাই কম। 

    * অনলাইন ব্যবসায় হিসাব নিকাশ অনেক সহজ ও নির্ভুল হয়। 

    * অনলাইন ব্যবসায় কাস্টমার অনেক বেশী। 

    *অনলাইন ব্যবসাই  সহজে ব্র্যান্ড ভেলু বাড়িয়ে তোলে

    *অনলাইন ব্যবসা নির্দিষ্ট এলাকাতে সীমাবদ্ধ থাকে না। 

    *অনলাইন ব্যবসাতে প্রচারের খরচা তুলনামূলক অনেক কম। 

    *অনলাইন ব্যবসার  কাস্টমার ও সেল অনেক বেশী।  

    এছাড়াও অফলাইন ব্যবসার তুলনায় অনলাইন ব্যবসাতে অনেক বেশী সুবিধা আছে। 

    কিছু অনলাইন ব্যবসা :-

    অনলাইন ব্যবসার নাম বলে শেষ করা যাবেনা তবে এটুকো  বলতে পারি সব অফলাইন ব্যবসাকে অনলাইন ব্যবসাতে রূপান্তরিত করা যায় ,এছাড়াও এমন কিছু ব্যবসা আছে যা সুদু অনলাইনেই করা সম্ভব, যেমন ডিজিটাল বুক সেল,অনলাইন ক্লাস ইত্যাদি।  অফলাইনে ব্যবসা সীমাবদ্ধ কিন্তু অনলাইনে ব্যবসা উন্মুক্ত। আমি অতি সংকেপে কিছু এমন অনলাইন ব্যবসা এখানে আপনাদের জানাচ্ছি যেগুলি অনলাইনে  যেভাবে সম্ভব তা অফলাইনে সেভাবে সম্ভব নয়। 

    * ই-কমার্স(e-commerce)

    ইন্টারনেটের দৌলতে আজ ব্যবসা চলে এসেছে হাতের মুঠোয়, তাই পকেট বন্দি মোবাইল বা ব্যবহারের কম্পিউটার খুললেই সহজেই বিশ্বব্যাপী বাজারে প্রবেশ করা যায়। অনলাইনে পসরা সাজিয়ে বসে আছে বহু দোকানদার, অথচ তাদের দোকান কোথাও নেই কাস্টমার অনলাইনেই  প্রোডাক্ট দেখছে সেখান থেকেই অর্ডার করছে এবং কাস্টমার ঘরে বসেই প্রোডাক্ট পেয়ে যাচ্ছে। এ যেন এক জাদুর জগত। এটাই হচ্ছে ই-কমার সাইড এর ব্যবসা। যেখানে আপনার দোকানের প্রয়োজন নেই শুধুমাত্র প্রোডাক্ট আর প্রচার এবং ই-কমার্স সাইটে আপনার প্রোডাক্টের দোকান অনলাইনের মাধ্যমে সবার সামনে  উপস্থাপন করা।

    ই -কমার্স এর মাধ্যমে আপনি যাকিছু বিক্রি করতে পারেন। বই,কাপড়,ফার্নিচার,সবকিছুর দোকান অনলাইনে খুলতে পারেন। এর জন্য কিছু প্লাটফর্ম আমাদের   সুযোগ করে দেয় অনলাইন ব্যবসার জন্য। যেমন Amazon, Flipkart, Snapdeal. এদের নিজস্য অনলাইন ই -কমার্স প্লাটফর্ম আছে যেখানে আপনি সহজে ও বিনা মূল্যে প্রডাক্ট আপলোড করে দারুন একটা ব্যবসা শুরু করতে পারেন। 

    প্রথমেই আপনি যে বিষয়ে অনলাইন বিজনেস করতে চাইছেন সেই বিষয়ে জিনিসগুলোকে বা প্রোডাক্টগুলোকে সুন্দর ভাবে গুছিয়ে লিস্টিং করে নিন যেমন জামা, কাপড়, জুতো, ব্যাগ ইত্যাদি এগুলো ভালোভাবে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে আপনাকে ফটো তুলে নিতে হবে এবং পারলে ছোট্ট একটা ভিডিও তুলে নিতে পারেন পাশাপাশি বস্তুটির সম্পূর্ণ ডেসক্রিপশন ভালোভাবে লিখে নিতে হবে, এরপর সেগুলিকে ই-কমার্স সাইটে আপলোড করতে হবে. আপনার প্রোডাক্ট যেন দেখতে আকর্ষনীয় হয় এবং প্রডাক্ট ডেস্ক্রিপশন এত সুন্দর ভাবে লিখতে হবে যাতে যে ব্যক্তি অনলাইনে আপনার প্রোডাক্ট দেখবে তার যেন   প্রোডাক্ট সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা জন্মায়। এভাবে আপনার প্রোডাক্ট গুলিকে ই-কমার্স সাইটে আপলোড করতে হবে। 

    মাথায় রাখবেন নামকরা ই-কমার্স সাইট গুলিতে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি মানুষ আসছেন তাদের পছন্দের বস্তুটি কিনতে তাই আপনার প্রোডাক্ট এর ফটো ডেস্ক্রিপশন যত ভালো হবে আপনার প্রোডাক্ট গুলি ততো তাড়াতাড়ি বিক্রি হবে, একবার প্রোডাক্টটির  অর্ডার এসে গেলে সুন্দরভাবে প্যাকেজিং করে আপনার কাস্টমারকে সঠিক সময়ে ডেলিভারি করুন। ই-কমার্স সাইটে ব্যবসা করা আজ খুব লাভজনক একটা আইডিয়া।

    * এফিলিয়েট মার্কেটিং (affiliate marketing) 

    একটা সময় ছিল যখন আমরা ভালো কিছু সিনেমা দেখলে অথবা ভালো কোন প্রোডাক্ট কিনলে অন্যদেরকে বলতাম এই জিনিসটা কিনতে তাতে তারাও ভালো একটা প্রোডাক্ট পেয়ে যেত। কিন্তু এর জন্য আমরা কোন পয়সা পেতাম না। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এমন একটা মার্কেটিং যেখানে আপনি আপনার পরিচিতদের মধ্যে অন্য কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট এর  প্রচার করলে বা তা সম্পর্কে জানালে তারা যদি সেই প্রোডাক্টটি কেনে তার জন্য আপনি বিশেষ একটা কমিশন পাবেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আজ বহু মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকা ঘরে বসে ইনকাম করছে তাই এটা একটা দারুণ ব্যবসায়িক আইডিয়া হতে পারে ।

    একথা সত্য যে  আপনার নিজস্ব কোন প্রোডাক্ট না থাকলেও আপনি অন্যের প্রোডাক্ট নিয়ে অনলাইনে ব্যবসা শুরু করতে পারেন তারই নাম হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। মনে করুন বিভিন্ন ই-কমার্স সাইটে প্রতিদিন প্রচুর ব্যবসায়ী তাদের প্রোডাক্ট গুলি আপলোড করে থাকেন সেই প্রোডাক্ট গুলি মধ্যে যেটি আপনার পছন্দ বা  আপনার মনে হয় এই প্রোডাক্টটি অন্য কেউ কিনতে পারেন। সেই প্রোডাক্ট গুলি বাছাই করে আপনি আপনার ফেসবুক আইডি বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া সাইট থেকে প্রচার করতে পারেন যখন সেই প্রোডাক্টটি বিক্রি হবে তখনই আপনি একটি কমিশন ইনকাম করবেন। 

     Amazon Affiliate এর মতন  বড়ো বড়ো ইকমার্স সাইট এই এফিলিয়েট মার্কেটিং- এর সুযোগ করে দেয়।অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মজা হলো এখানে আপনার নিজস্ব কোন প্রোডাক্ট এর প্রয়োজন নেই অন্যের জিনিস নিয়ে আপনি ব্যবসা করবেন, এক প্রকার বিনা ইনভেস্টমেন্টে অনলাইনে আপনি একটি ভালো ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন|

    * ড্রপশিপিং (dropshipping) 

    ড্রপশিপিং একটি দারুন অনলাইন ব্যবসা এবং অতি লাভজনক ব্যবসা। কেমন এই ব্যবসা ? মনে করুন আপনার নিজের একটা স্টোর,ব্লগ বা প্লাটফর্মে অন্ন  কোন পণ্যের তথ্য রাখার পর গ্রাহক আপনার সেই  স্টোরে গিয়ে সেই পণ্যটি কেনার জন্য অর্ডার করল। এবার আপনি যিনি ওই পণ্যটি তৈরি করেন বা সাপ্লায়ার তার কাছ থেকে উক্ত পন্যটি কিনে তা আপনার গ্রাহকের কাছে  পৌঁছে দিলেন। এবং আপনি আপনার একটি কমিশন রেখে দিলেন এই সম্পূর্ণ পদ্ধতিকেই ড্রপশিপিং বলা হয়ে থাকে ।

    * ফ্রিলেন্সার (freelancer)

    অনলাইন ফ্রিলেন্সার কথাটার অর্থ মুক্ত পেশা। মানে আপনি আপনার নিজে  নিজের  বস, নিজেই মালিক।  অর্থাৎ আপনি মুক্ত ভাবে আপনার কর্মদক্ষতার জন্য কন্ট্রাক্টে কাজ তুলে তা থেকে ইনকাম করতে পারে। এবং একটি চাকুরীর থেকেও বেশি ইনকাম করতে পারেন। 

    ইন্টারনেটের দুনিয়ায় প্রচুর মানুষ আছেন যারা নিজের কাজ অর্থের   বিনিময়ে অন্যকে দিয়ে করিয়ে নেয়। প্রথমে খুঁজেনিতে হবে আপনি কোন কোন বিষয়ে দক্ষ আছেন, বা কোন কোন কোর্স করে আপনি আরো দক্ষ হতে পারেন। এই বিষয় গুলিকে হাতিয়ার করে আপনি ফ্রিলেন্সার এর কাজ শুরু করতে পারেন। যেমন ভিডিও এডিটিং , ভয়েস ওভার, লেখা লেখি ,ফটো এডিটিং, excel এর কাজ,pdf এর কাজ এরকম হাজার কাজ আছে যা আপনি  ফ্রিলেন্সার হিসাবে করতে পারেন। 

    fiverr.com একটি নামকরা ফ্রিলেন্সার সাইট। এখানে প্রচুর ফ্রিলেন্সার নিজেদের কাজের গিগ বা এড দিয়ে থাকেন আর প্রচুর মানুষ এখানে এসে ফ্রিলেন্সারদের দিয়ে নিজের কাজ করিয়ে নেয়। আপনি fiverr.com এ এসে একটু রিসার্চ করুন এখানে কি কি কাজ এর সুযোগ আছে। আপনি অবাক হয়ে যাবেন একদম সাধারণ কিছু কাজ আছে যা মানুষ অর্থের বিনিময়ে ফ্রিলেন্সারদের দ্বারা করিয়ে নেন বিনিময়ে ভালো পরিমানের অর্থ ব্যয় করেন। 

    যে বিষয়ে আপনার দক্ষতা আছে সেই বিষয়ের উপর আপনি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে পারেন। পৃথিবীতে এমন অনেক লোক আছে যারা  ছোট ছোট কাজ যেমন ফটো এডিটিং, ভিডিও এডিটিং, লেখালেখি, প্রজেক্ট তৈরি করা ইত্যাদির মতো অসংখ্য কাজ করার মত তাদের কাছে সময় নেই তারা আপনার মত ফ্রিল্যান্সারদের খোঁজে। তাদের পরিবর্তে যাতে আপনি কাজগুলো করে দেন এবং কাজের পরিবর্তে তিনি আপনাকে একটি মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক দিয়ে থাকেন একে বলে ফ্রিল্যান্সিং বিজনেস এখানে আপনি নিজের সময় মত কাজ করতে পারেন এটি একটি দারুণ ব্যবসা যদি সঠিকভাবে করতে পারেন|


     * ডিজিটাল মার্কেটিং  (Digital marketing)

    ডিজিটাল মার্কেটিং হল এমন এক ধরণের মার্কেটিং যাতে  আপনি আপনার পণ্য বা অন্যের পণ্য বা সেবা কে ডিজিটাল মাধ্যমে কিভাবে প্রচার করবেন সেই পদ্ধতি। 

    আগে যেমন লিমিটেড কিছু মাধ্যম ছিল প্রচার বা এডভার্টাইসমেন্টের জন্য যেমন রেডিও, পেপার টিভি ইত্যাদি।  এতে সঠিক কাস্টমারের কাছে সঠিক পণ্য না পৌঁছাবের সম্ভাবনা ছিল, একটা উদাহরণের মাধ্যমে বোঝাবার চেষ্টা করি -

                                             মনেকরুন আপনার একটি জুতোর ব্যবসা আছে। আপনি খরচা করে একটি ব্যানার  ছাপিয়ে বাজারের এমন একটা এস্থানে লাগালেন  যেখানে প্রচুর মানুষের নজর করবে । এবার ভেবে বলুনতো যারা আপনার ব্যানার দেখছে তারা প্রত্যেকেই কি আপনার কাস্টমার ? না।  কারণ এই ব্যানার , যার জুতোর দরকার সে যেমন দেখছে আবার যার দরকার নেই সেও দেখছে। এতে আপনার ব্যানার ১০০% জুতোর কাস্টমারের কাছে পৌঁছেছেনা। এই ফাঁকা এস্থান পূরণ করছে ডিজিটাল মার্কেটিং সাইট গুলি। গুগল বা ফেসবুকের মাধ্যমে যখন সঠিক ভাবে আপনি এড চালাবেন তখন ১০০% কাস্টমারের কাছে আপনার এড পৌঁছাবে। এতে ব্যবসা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। 

    এই ডিজিটাল মার্কেটিং সকল ব্যবসাই জানেননা বা বলতে পারেন সঠিক ভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যবহার জানেননা। তাই এটি একটি দারুন লাভজনক ব্যবসা। 

    আপনি  ডিজিটাল মার্কেটিং ভালোভাবে শিখেনিয়ে এর একটি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এটি একটি অতি লাভজনক ব্যবসা। ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে আপনি যদি না জানেন তাহলে অনলাইনে আপনি কিছু কোর্স করে নিতে পারেন। প্রচুর ছোট বড় ব্যবসায়ী আছে যারা অনলাইন সম্পর্কে তেমন ধ্যান ধারণা রাখে না সেই সুযোগ নিয়ে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে তাদের কোম্পানি বা ব্র্যান্ডের প্রচার করতে পারেন এতে ওই কোম্পানিগুলো তাদের ব্যবসার গতি অনেকখানি বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম হবে এবং তার পরিবর্তে আপনি মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক পাবেন। আগামী দিনগুলি সমস্ত ব্যবসা আরো বেশি করে অনলাইনে আসতে চাইবে তাই যারা ডিজিটাল মার্কেটিংকে  ব্যবসা হিসাবে বেছে নেবেন আগামী দিনগুলো তাদের জন্য আরও বেশি সুবর্ণ সুযোগ অপেক্ষা করছে।

    অনলাইন দুনিয়ায় একবার পা রাখলে আপনি বুঝতে পারবেন ইনকামের কত রাস্তা আছে। আজ প্রচুর মানুষ শুধুমাত্র অনলাইনে কাজ করে মোটা অংকের মুনাফা কামাচ্ছে । তাই আপনার পছন্দের সাবজেক্টকে হাতিয়ে করে আপনিও নেবে পড়তে পারেন। এবং অনলাইনকে হাতিয়ার করে ঘরে বসে দারুন একটি লাভজনক ব্যবসা দার  করাতে  পারেন। এখানে সামান্য কতগুলি সাবজেক্ট সম্পর্কে আলোচনা করা হলো , আরো অনেক উপায় আছে যার মাধ্যমে আপনি অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন , সেগুলি সম্পর্কে পরবর্তী কোনো প্রতিবেদনে আলোচলনা করবো।

    আরো কিছু অনলাইন ইনকামের কথা নিচে লিখলাম, দেখুনতো কোন বিষয়ে আপনি ওস্তাদ -

    আরো কিছু অনলাইন ইনকামের কথা নিচে লিখলাম, দেখুনতো কোন বিষয়ে আপনি ওস্তাদ -

    যদি আপনি লেখালেখি পছন্দ করেন তাহলে শুধুমাত্র ব্লগ লিখে অনলাইনের মাধ্যমে ব্যাল ইনকাম করতে পারেন। যদি আপনি ভিডিওর মাধ্যমে ইনকাম করতে চান তাহলে ইউটুবে একটি চ্যানেল বানিয়ে ইনকাম শুরু করতে পারেন। এছাড়াও যদি আপনি সোসালমিডিয়া ব্যবহারে ওস্তাদ হন তাকলে অন্যের ব্যবসার বা ব্যক্তির সোসালমিডিয়া ম্যানেজার হয়েও ইনকাম করতে পারেন। আপনি যদি কোনো বিষয়ে পারদর্শী হন তাহলে সেই বিষয়ে কোর্স বানিয়েও ইনকাম করতে পারেন। অনলাইন ডিজিটাল আইটেম বানিয়ে দীর্ঘ মেয়াদি একটি ইনকাম তৈরী করতে পারেন। এরকম আরো অনেক সাবজেক্ট আছে যার মাধ্যমে আপনি অনেক বেশি ইনকাম করতে পারেন। মধ্যকথা অনলাইন একটি নতুন দুনিয়া।জেক ব্যবহার করে অফলাইন ব্যবসার বিস্তার যেমন করা সম্ভব তেমন অনলাইন ব্যবসাও আপনি ভালোভাবে করতে পারেন। সুদু মাত্র দরকার সঠিক ধারণা, যা আপনি  অনলাইনেই ফ্রি তে পেয়ে যাবেন। কঠোর পরিশ্রম ও সঠিক শিক্ষা  থাকলে কোনো কিক্ষু আপনাকে কখনোই আটকাতে পারবেনা, আপনি সফল হবেনই।  

    এরকম অনেক ব্যবসা আছে যা আপনি অনলাইনে শুরু করতে পারেন। এবং এই ব্যবসা গুলি ভালোভাবে করতে পারলে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আপনি মুনাফা করতে পারবেন। তবে সবার শেষে বলব যেকোন ব্যবসা শুরু করার আগে সেই ব্যবসা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে এবং শিখে ব্যবসা শুরু করুন। 

    আরো পড়ুন 

    কিভাবে একটি টি-শার্ট তৈরির ব্যবসা চালু করবেন ?

    বিনা ইন্ভেসমেন্টে ৫ টি দারুন লাভজনক ব্যবসা।

    ১০ হাজার টাকায় ১০ টি লাভজনক ব্যবসার সন্ধান

    কিভাবে app নির্ভর একটি টেক্সী ব্যবসা শুরু করবেন।

    অল্প টাকা বিনিয়োগ করে প্রচুর টাকা ইনকাম করার ৫ টি সন্ধান।

    আমাদের প্রতিবেদনটি ভালো লাগলে লাইক ও শেয়ার ও ফলো করতে ভুলবেন না। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ। 


    একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

    নবীনতর পূর্বতন