বিজনেস মডেল :
কিভাবে করবেন এই ব্যবসা?
এই ব্যবসাটি কে আমরা তিন ভাগে ভাগ করে নিতে পারি
প্রথম: কোথা থেকে আমরা জোগাড় করবো সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল?
দ্বিতীয়তঃ কিভাবে এবং কাকে দিয়ে রিপেয়ার করব মোবাইল গুলি?
তৃতীয়তঃ মোবাইল গুলো সেল করার জন্য কি কি পন্থা অবলম্বন করব?
চলুন সবিস্তারে দেখে নিই বিষয়গুলিকে কিভাবে আমরা বাস্তবায়িত করব।
পুরাতন মোবাইল জোগাড় :
প্রথমে আমাদেরকে সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল জোগাড় করতে হবে। আপনি আপনার আশেপাশে যে মোবাইল শোরুম গুলি আছে তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন যে পুরাতন মোবাইল গুলি তারা এক্সচেঞ্জে নিচ্ছেন সেগুলি আপনি তাদের কাছ থেকে কিনে নেবেন ( সস্তায় কিনতে হবে )। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনাকে প্রতিনিয়ত প্রচার চালিয়ে যেতে হবে যে আপনি খুব ভালো দামে সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল কিনে থাকেন। বড় করে ভাবলে আপনি এর জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করতে পারেন। এভাবেই আপনার কাছে চলে আসবে প্রচুর সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল। তবে মোবাইলগুলো কেনার আগে অবশ্যই খারাপ মোবাইল কেনার অভিজ্ঞতা আপনার থাকতে হবে এবং মোবাইলের সঠিক পেপার আপনাকে নিতে হবে। তা না হলে আপনি বড়োসড়ো লসের মুখ দেখতে পারেন।
পুরাতন মোবাইল রিপিয়ারিং :
আপনি সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল জোগাড় করে নিলেন এবার আপনাকে সে গুলোকে ছোটখাটো যা কাজ আছে তা সম্পূর্ণ ঠিক করতে হবে। সেগুলি আপনি নিজে করবেন কি অন্য কাউকে দিয়ে করাবেন সেটা আগে থেকেই ঠিক করে নিতে হবে। যাকে দিয়ে ঠিক করাবেন তাকে কি অর্থ দেবেন সেটিও আপনাকে আগে থেকে চিন্তা করে নিতে হবে।প্রয়জনে আপনি নিজেও ৬ মাসের একটি মোবাই রিপিয়ারিং এর কাজ শিখে নিতে পারেন। মোবাইল কেনা এবং তা রিপেয়ার করা এর দুটিকে যোগ করেই আপনার একটি মোবাইলের লভঅংশ ঠিক করবেন। লভঅংশ ঠিক করে মোবাইলের দাম নির্ধারিত করতে হবে।এখানে বলে রাখি একটি মোবাইল বিক্রি করে আপনি 500 থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত লাভ রাখতে পারেন।
মোবাইল বিক্রি করা :
এবার আসি এই রিপেয়ার করা মোবাইল গুলিকে আপনি কিভাবে বিক্রি করবেন। আপনি সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল এর একটি দোকান ওপেন করতে পারেন যদি দোকান করার মতো জায়গা আপনার কাছে না থাকে তাহলে আপনি শুধুমাত্র অনলাইনে প্রচুর সেল করতে পারেন। কিন্তু মাথায় রাখবেন অনলাইনে আপনাকে একটিভ থাকতে হবে। যদি আপনি একটা দোকান করেন যেমন দোকানটি প্রতিদিন খুলতে হয়। তা না হলে আপনি কাস্টমার পাবেন না ঠিক তেমনি অনলাইনে আপনি যদি প্রতিনিয়ত একটিভ না থাকেন আপনিও কাস্টমার পাবেন না। অনলাইনে প্রচুর প্ল্যাটফর্ম আছে যেখান থেকে আপনি সহজেই সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইলগুলি বিক্রি করতে পারেন। যেমন আপনি ফেসবুক পেজ খুলতে পারেন, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করতে পারেন,ফেসবুক মার্কেট প্লেসে বিক্রি করতে পারেন , সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল এর উপর ইউটিউব চ্যানেল করতে পারেন, ইনস্টাগ্রাম পেজ খুলতে পারেন,সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল এর উপর ছোট ছোট রিল বানাতে পারেন, ওএলএক্স, কুইকার, ফেইসবুক মারকেটপ্লেস, গুগোল অ্যাড, ফেসবুক অ্যাড, সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল এর উপর ব্লগ, এরকম হাজার সাইট আছে হাজার রাস্তা আছে যেখানে আপনি অনলাইনে সহজেই এই মোবাইল গুলো বিক্রি করতে পারেন।
প্রচুর মানুষ আছে যারা নতুন ফোন না কিনে একটু কম দামে ভালো ফোন কিনতে চাই।আর আপনি যদি ভালো দামে কাস্টমারকে সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল দিতে পারেন লাভের পরিমাণ অনেক বেশি ঘরে তুলতে পারবেন। মাথায় রাখবেন পুরনো মোবাইল কেনার আগে সঠিক' কাগজপত্র দেখে নেবেন তা না হলে আইনত সমস্যায় পরতে পারেন এবং পুরনো মোবাইল যখন বিক্রি করবেন তখন ও কাস্টমারকে মোবাইলের সঠিক কাগজপত্র দেবেন এতে আপনার সততার পরিচয় এবং আপনার প্রচার বাড়বে। আপনার প্রচার যত বাড়বে আপনার সেল তত বেশি হবে। এবং কাস্টমার যদি আপনার কাছ থেকে নিয়ে সন্তুষ্ট হয় তো তাদের রেফারেন্সে আপনি আরো বেশি সেল করতে পারবেন।
এই সেকেন্ড হ্যান্ড মোবাইল এর ব্যবসা একটি দারুণ ব্যবসা যদি আপনি সঠিকভাবে করতে পারেন এবং এই ব্যবসার কম্পিটিশন এখন অনেক কম, কাস্টমার অনেক বেশি তাই যদি আপনি একটি অতি লাভজনক ব্যবসা করতে চান এবং মোবাইল সম্পর্কে আপনার জ্ঞান অনেক বেশি থাকে আপনি সেকেন্ডহ্যান্ড মোবাইলের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
সতর্ক থাকুন :
সেকেন্ডহ্যান্ড মোবাইল কেনার আগে কি কি বিষয়ে খেয়াল রাখবেন ?
১) মোবাইলটি কতদিনের পুরাতন।
২) মোবাইল মালিকের পরিচয় কি।
৩) মোবাইলের অরিজিনাল বিল আছে কি না।
৪) মোবাইলের সঙ্গে প্রাপ্ত হেডফোন,চার্জার,বাক্স কেমন অবস্থায় আছে।
৫) মোবাইলের হেলথ চেকাপ রিপোর্ট কেমন।
৬) বেটারী কন্ডিশন কেমন।
৭) মোবাইল ইস্ক্রীন কেমন আছে।
৮) মোবাইলের বাইরের লুক কেমন।
৯) চার্জার ও হেডফোন কাজ করছেকিনা।
ইত্যাদি আরো অনেক কিছু।
আরো পড়ুন -
সেকেন্ডহ্যান্ড মোবাইলের ব্যবসা।
অল্প ইনভেস্টমেন্ট ১০ লাভজনক ব্যবসা।
বিনা ইনভেস্টমেন্টে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা
চা বিক্রি একটি কোটি টাকার ব্যবসা।
